ই-পেপার | মঙ্গলবার , ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গণমাধ্যমকর্মীদের করনীয়-বর্জনীয়

@ খায়রুল আলম রফিক @

গণমাধ্যম কর্মীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, অতিরিক্ত অনুরাগ-বিরাগ পরিত্যাজ্য। অতিরঞ্জিত উপস্থাপনা, মিথ্যার আশ্রয় নেয়া, প্রতিহিংসামূলক আচরণ পরিত্যাগ করতে হবে। বিচার্য ও যুক্তিভিত্তিক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন গণমাধ্যমের কর্মীদের মর্যাদা বাড়ায় এবং গণমাধ্যমটির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।

 

অপরদিকে এর বিপরীত কর্মকান্ড- গণমাধ্যমকর্মীদের মানমর্যাদা কমায় এবং গণমাধ্যমটির প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়। কাজেই অসাবধানতা, লৌকিকতা এবং বিবেকবর্জিত সংবাদ সংগ্রহ, ছবি ধারণ এবং তা সম্প্রচার করা থেকে সাংবাদিকদের বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়। কখনও কখনও অতিরঞ্জিত তথ্য পরিবেশেনের মাধ্যমে অহেতুক ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। জনমনে নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। কখনও কখনও গণমাধ্যম পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করে রাজনীতিবিদদের স্বার্থ সিদ্ধির পথকে সুগম করে, এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন বর্জনীয়।

 

গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বার্থ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নানারকম হুমকি-ধামকি, এমনকি প্রাণনাশের মতো ঘটনার শিকার হতে হয়।

যিনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেন তিনি কখনো কখনো স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর রোষানলের শিকারে হতাহত হয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়ে উঠেন।

 

কোনো কোনো সময় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়। এতে করে জনমনে নানারকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সচেতন অভিজ্ঞ মহল জানতে চায় আসলে ঘটনা কী? নেপথ্যের তথ্য জানতে তখন সাধারণ মানুষ আরো বেশি আগ্রহী হয়ে উঠে।

 

এমতাবস্থায় সংবাদকর্মীরা নিজেদের অসহায় অনুভব করেন, কিন্তু করার কিছুই থাকে না। তারপরও সাংবাদিকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ ও চিত্র ধারণ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান।

 

গায়ের ঘাম, কলিজার রক্ত পানি করে মহামূল্যবান সময় ও যোগ্যতার বিকাশ সাধন করে যারা সাংবাদিকতা করেন, তাদের অনেকেরই আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। এলাকায় যাদের যথেষ্ট সম্মান বিরাজ করে তাদের অনেকেরই চাল-চুলোর দুরাবস্থা।

 

এসব সাংবাদিকের অনেকেরই সন্তানেরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। স্কুলের যাবার খরচ, লেখা-পড়ার খরচ যোগাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। তারপর আবার যদি সংসারে বৃদ্ধ পিতা-মাতা থাকেন তাহলে তো আরও করুণ অবস্থা! এসব সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেই বাস্তবতার কারণে অর্থাভাবে কালো সাংবাদিকতা, হলুদ সাংবাদিকতা এমনকি আঁতাতের সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়ছেন।

 

লেখক: খায়রুল আলম রফিক,

প্রধান সম্পাদক

দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪