ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রঙধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকের বিরুদ্ধে দুই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকা :

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমি দখল, হত্যাচেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগে রঙধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা হয়েছে ।রোববার (১৯ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দুটির আবেদন করেন ভুক্তভোগী আলী আজগর ভূইয়া ও মো. মামুন নামের দুই স্থানীয় দুই ব্যক্তি।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে শুনানি শেষে মামুনের অভিযোগটি এফআইআর এর নির্দেশ ও আলী আজগর ভূইয়ার আবেদনটি ডিবিতে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে মামুনের মামলায় রফিকসহ ১৮ জন ও আলী আজগরের মামলায় ৩১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পবিত্র জানান, দুটি মামলার আবেদনের শুনানি শেষে আদালত একটি মামলার এফআইআর ও আরেকটি মামলা ডিবিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযোগে বাদী মো. মামুন জানান, গত ১৭ নভেম্বর আসামিরা এসে তাদের পাঁচ ভাইয়ের মালিকানাধীন ৯৫ শতাংশ জমি রফিক ও মিজানুরের নামে রেজিস্ট্রি করে লিখে দিতে হুমকি দেয়। অন্যথায় তাদের সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। পরবর্তীতে গত ১৯ নভেম্বর সকালে আসামিরাসহ আরও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে দ্বিতীয় দফায় হুমকি দেয়।

সর্বশেষ গত ২১ নভেম্বর আসামিরা বাড়িতে হামলা ভাংচুর করে এবং ঘরের মালামাল গাভীসহ প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে মালগাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এসময় আসামিরা তাদের বসতঘর ও গোয়াল ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় আসামিরা পুনরায় জমি রেজিস্ট্রি করে লিখে দিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

অপর মামলার বাদী আজগর আলী ভূইয়া জানান, গত ১৮ নভেম্বর আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় আসামিরা জমি তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে লিখে দিতে হুমকি দেয়। বাদী রাজি না হলে আসামিরা বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান রোববার বিকেলে সময় সংবাদকে জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে শুনানি শেষে বিচারক মামুনের অভিযোগটি রূপগঞ্জ থানায় এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। অপর মামলার বাদী আলী আজগর ভূইয়ার আবেদনটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সময় সংবাদকে তিনি আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলা দুটির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।