ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজারে নবাব মিয়া হত্যামামলায় নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালিতে নবাব মিয়া হত্যামামলায় নিরপরাধ ৩ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শাহজাহান, আলমগির ও ফজল করিম নামের তিনজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে আসামি করা হয়। এমনটাই দাবি তাদের পরিবারের।

জানা যায়, গেল বছরের ১১ অক্টোবর রাত দশটায় খুন হয় ভারুয়াখালি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড় চৌধুরীপাড়ার মৃত কালা মিয়ার পুত্র নবাব মিয়া। এই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শওকত বেলাল বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

 

মামলায় নিহতের প্রতিপক্ষ ইলিয়াছ, শাহজাহান, দিদার, আয়াছ, ফজল করিম, আলমগিরকে আসামি করা হয়।

ওই মামলার আসামি আলমগিরের ভাই আবুবকর ছিদ্দিকের দাবি- ২০০৮ সালে সংঘটিত একটি ঘটনা ও মামলাকে কেন্দ্র করে প্রতিশোধের নেশায় নিহত নবাব মিয়ার ভাই, আইনজীবী শওকত বেলাল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তার ভাই আলমগিরসহ শাহজাহান ও ফজল করিমকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আসামি করেছে। অথচ ঘটনার সময় এই তিনজনের একজনও ধারেকাছে ছিলেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত ২০০৮ সালে নিহত নবাব মিয়া, তার ভাই সাহাব মিয়া ও শওকত বেলাল, বোন ছেনু আরা, ভগ্নিপতি দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জিআর-৪০২/০৮ মামলা করেন স্থানীয় মুহাম্মদ ছলিমুল্লাহ। আসামিরা তার পিতা আবদুস ছবিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

আবুবকর ছিদ্দিক জানান- ওই মামলার সূত্র ধরে আলমগিরসহ তিনজনকে নবাব মিয়া হত্যামামলায় জড়িয়েছে বাদী শওকত বেলাল।

যে কারণে নবাব মিয়া হত্যা: 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মৃত নুর আহমদের তিন পুত্র ইলিয়াছ মিয়া, দিদার মিয়া ও আয়াছ মিয়া পেশায় জেলে। তাদের মাছ ধরার জাল নবাব মিয়া চুরি করে। এ ঘটনায় ভারুয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা। বিচারে জালের মূল্য বাবদ নবাব মিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউপি চেয়ারম্যান। এর মধ্যে জরিমানার এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন নবাব মিয়া। বাকি এক হাজার টাকা পরিশোধে গড়িমসি করলে ভুক্তভোগী জেলেরা বিষয়টি আবারও চেয়ারম্যানকে জানায়। এতে নবাব মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে বকাঝকা করতে থাকে। বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত ইলিয়াছরা নবাব মিয়ার ভাই মোস্তাক ও বেলালকে অবহিত করে। এতেও কোনো সুরাহা হয়নি।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি, ঘটনার দিন রাত দশটার দিকে অভিযুক্ত নবাব মিয়াকে বাগে পেয়ে তিনভাই ইলিয়াস, দিদার ও আয়াছ দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে নবাব মিয়ার মৃত্যু হয়।

আবুবকর ছিদ্দিকের অভিযোগ, জনসমক্ষে ঘটে যাওয়া ওই হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয় ইলিয়াসরা তিন ভাই। অথচ, ২০০৮ সালে তার জেঠার উপর হামলার ঘটনায় করা মামলার প্রতিশোধ নিতেই শাহজাহান ও আলমগিরকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ঘাতকদের চাচাতো ভাই হিসেবে ফজল করিমকেও মামলায় জড়িয়েছে।

 

এইচ এমকাদের,সিএনএন বাংলা২৪: