আন্তর্জাতিক ডেস্ক
খেরসনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটাবে রাশিয়া— গত কয়েকদিন ধরে এমন দাবি করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। হামলার উদ্দেশ্যে রুশ বাহিনী কেন্দ্রটির ছাদে বিস্ফোরক স্থাপন করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে এবার রাশিয়া উল্টো অভিযোগ করল, ইউক্রেনীয় বাহিনীই কেন্দ্রটিতে ‘বিপর্যয়কর’ হামলার পরিকল্পনা করছে।
খেরসনের দানিপ্রো নদীর তীরে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অবকাঠামো। এতে ছয়টি চুল্লি রয়েছে।
বুধবার (৫ জুলাই) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ ইউক্রেনীয়দের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেছেন, ‘পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এখানে কিয়েভের নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে, যেটির পরিণতি বিপর্যয়কর হতে পারে।’
তবে তিনি দাবি করেছেন, পারমাণবিক কেন্দ্রে ইউক্রেনের কথিত হামলা ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে রাশিয়া।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক হামলা চালানোর কয়েকদিন পরই জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। বর্তমানে এটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে রাশিয়ার পারমাণবিক সংস্থা রোসেনারগোয়াতোম।
সংস্থাটির পরামর্শক রেনাত কার্চা জেলেনস্কির ‘হামলার’ দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছে— ইউক্রেনের এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
‘আমাদের কেন সেখানে বিস্ফোরকের প্রয়োজন হবে? এগুলো অর্থহীন কথাবার্তা। এসব অভিযোগের উদ্দেশ্য উত্তেজনা জিইয়ে রাখা।’ বলেছেন রেনাত কার্চা।
তবে পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ বাহিনীর সম্ভাব্য বিস্ফোরণ ঘটানোর বিষয়টি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ইউক্রেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে সাধারণ মানুষকে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিকে মোড়ানো খাবার ও মুখের মাস্কসহ ব্যাগ গুছিয়ে রাখতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
সূত্র: আল জাজিরা