ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দাওয়াত না পেয়ে চেয়ারম্যানের হামলা, মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) :

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বহুল আলোচিত কাথরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত গত ১২ অক্টোবর এই পরোয়ানা জারি করেন। জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে তার লোকজন নিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেন কাথরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে আমিন।

 

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ওবায়দুল্লাহ বাদী হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইবনে আমিন, আবদুল মান্নান, মো. নাছির উদ্দিনকে আসামি করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই উপ-পরিদর্শক রুস্তম আলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

 

পিবিআই উপ-পরিদর্শক রুস্তম আলী বলেন, দীর্ঘ তদন্ত শেষে চেয়ারম্যান ইবনে আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।

 

আদালত সুত্রে জানা যায়, পুলিশের প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর চেয়ারম্যান ইবনে আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১২ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

কাথরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে আমিন বলেন, মামলা হওয়ার পর পিবিআই টিম যখন মামলা তদন্তে আসে তখন আমি প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কাছে সেদিনের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মীমাংসার কথা বলেছি।আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের যোগসাজশে ওই মামলায় আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

 

কাথরিয়া বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদায় অনুষ্ঠানে অতিথি না করার অজুহাতে চেয়ারম্যান ইবনে আমিন তার দলবল নিয়ে স্কুলের প্রধান ফটক এবং ক্লাসরুমে তালা মেরে দেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আদালত ওই মামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দীন বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট কপি এখনও হাতে পাইনি। কপি হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আমির, সিএনএনবাংলা২৪