ই-পেপার | শনিবার , ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে চসিকের ৪৩০০ শ্রমিক, ৩৪৫টি ট্রাক

বাবুল হোসেন বাবলা ,চট্টগ্রাম:

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে চসিকের ৪৩০০ শ্রমিক, ৩৪৫টি ট্রাকঈদ জামাতের প্রস্তুতি দেখতে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে আসেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম: নগরে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ বিকেল পাঁচটার মধ্যেই শেষ করতে চান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷

মঙ্গলবার (২৭ জুন) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠে প্রধান ঈদ জামাতের প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, আমরা সকাল ১১টা থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু করব। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না ঘটলে বিকেল ৫টার মধ্যে নগর বর্জ্যমুক্ত করার প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।

অল্প কিছু প্রান্তীয় এলাকায় কিছু জটিলতার কারণে সর্বোচ্চ সন্ধ্যা লাগতে পারে কাজ শেষ হতে। ৪ হাজার ৩০০ শ্রমিক ৩৪৫টি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন দিয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে।

এবার আমরা পশুর নাড়ি-ভুঁড়ি নেওয়ার জন্য পলিব্যাগও দিচ্ছি।
ঈদ-উল-আজহার প্রধান জামাতের জন্য চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ মাঠ সম্পূর্ণ প্রস্তুত জানিয়ে মেয়র রেজাউল বলেন, চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতের জন্য জমিয়তুল ফালাহ ঈদগাহ মাঠ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় দুটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১৫০টি ফ্যান, আর শামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি মনিটরিংসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশিক্ষিত সদস্যরা। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

‘স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টি হলে পানির ঝাপটা থেকে বাঁচতে স্টেজের চারপাশে কাপড়ের পর্দা দেওয়া হবে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভেতরে ঈদের জামাত হবে। ’ যোগ করেন মেয়র।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী (টিপু), নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, তৌহিদুল হাসান, সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোছাইন খোকা, অনিক দাশগুপ্ত, শাফকাত বিন আমিনসহ চসিকের কর্মকর্তারা।

এবারের প্রথম ও প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহর খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরি এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমদুল হক।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ৭টায় ৮টি মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শাহি জামে মসজিদে, হজরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফিন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)। এছাড়াও ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪