ই-পেপার | শনিবার , ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাশিয়া ও বেলারুশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

সিএনএনবাংলা২৪:

রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন ও সামরিক অভিযানের কারণে গত বছর উইম্বলডনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল রাশিয়ান ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের। অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি) ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী বছরের এই তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম আসরে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছিল। এছাড়া রাশিয়ার মিত্র দেশ হওয়ায় বেলারুশের খেলোয়াড়েরাও নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন।

 

কিন্তু দেশ দুটির খেলোয়াড়দের জন্য সুখবর রয়েছে। এ বছরের উইম্বলডনের জন্য তুলে নেওয়া হয় সেই নিষেধাজ্ঞা। তবে প্রশ্ন উঠেছে, গত বছর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, এই বছর সেটা কেন তুলে নিল উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ?

গত বছর নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। নোভাক জোকোভিচ থেকে শুরু করে রাফায়েল নাদাল এর বিরোধীতা করেছিলেন। ফলে সেই সময় পুরুষদের টেনিস র‍্যাঙ্কিংয়ের ২ নম্বর খেলোয়াড় ও ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ, মেয়েদের র‍্যাঙ্কিংয়ের ৪ নম্বর বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা খেলতে পারেননি উইম্বলডনে। ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল এটিপি ও ডব্লুটিএ কর্তৃপক্ষও, তারা উইম্বলডনের পয়েন্ট র‍্যাঙ্কিং থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত গ্র্যান্ড স্লাম অনেকটা প্রদর্শনী টুর্নামেন্টের মতো হয়ে পড়েছিল।

এইএলটিসি এ বছর মার্চে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তবে সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় কিছু শর্তও। এর মধ্যে প্রধান শর্ত হচ্ছে, রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়েরা নিজ দেশের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না, তাদের খেলতে হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রতিযোগী হিসেবে। তারা নিজ দেশ থেকে কোনো অর্থ সাহায্য নিতে পারবেন না। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রতি কোনো ধরনের সমর্থন প্রকাশ করতে পারবেন না।

এক বিবৃতিতে এইএলটিসি বলেছিল, ‘ব্রিটিশ সরকার, লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন এবং আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে শর্তগুলো যত্নসহকারে তৈরি করা হয়েছে। শর্তগুলো ব্রিটেনের ক্রীড়া সংস্থাগুলোর জন্য সরকারের নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

 

নুর মোহাম্মদ,সিএনএনবাংলা২৪