ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপহৃত ১০ জন জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি।

মোঃ আলমগীর আকাশ,টেকনাফ :

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলা সীমান্তের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া সেই ১০ জেলেকে ৩৬ ঘন্টা পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠি ‘আরাকান আর্মি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত পৌণে ৮ টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এসব জেলেদের ছেড়ে দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়ার ইউএনও তানভীর হোসেন।

ফেরত আসা জেলেরা হলো, উখিয়ার পালংখালী ইউপির রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২) এবং একই ইউনিয়নের পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫)।

বুধবার (১ মে) সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফনদীর অংশের মোদিরখালে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় ১০ জন জেলে। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির একদল সদস্য অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে ধরে নিয়ে যায় তাদের।

ইউএনও তানভীর বলেন, বাংলাদেশী ১০ জেলেকে আরাকান আর্মি কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুধবার দুপুরে তাকে অবহিত করেন। পরে তাৎক্ষণিক ঘটনাটি বিজিবিসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। এরপর থেকে এসব জেলেদের ফেরত আনতে বিজিবিসহ সীমান্ত সংশ্লিষ্টরা তৎপরতা শুরু করে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌণে ৮ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি ১০ জেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইউএনও আরো বলেন, সীমান্তের এপার পৌঁছার পর বাংলাদেশি এসব জেলেদের বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্ব স্ব বাড়ীতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফেরত আসা জেলেরা জানিয়েছে তাদের কোন ধরণের নির্যাতন করা হয়নি, এবং তারা স্ব স্ব বাড়ীতে নিরাপদে ফিরেছে।