ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাঙ্গায় ৮০০ কেজি সরকারি চাউল জব্দ; তদন্ত কমিটি গঠন

লিয়াকত হোসেন,ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলাধীন নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিডব্লিউবি এর ৮০০ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

এ সময় চাল ভর্তি একটি একতলা ভবন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলগালা করে রাখা হয়। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তর জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১০টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাকপুরা গ্রামের গ্রাম পুলিশ দুলাল সর্দারের বাড়ি থেকে এ চাল জব্দ করে।

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) এই প্রকল্পের নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে ১৭১ জন সুবিধাভোগীর জন্য জন প্রতি ৩০ কেজি চাল উত্তোলন করেন নুরুল্লাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন আলম সাহাবুর। সেই চালের মধ্যে থেকে সোমবার গভীর রাতে ৮০০ কেজি চাল গ্রাম পুুলিশ দুলাল সর্দারকে দিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়।

গভীর রাতে গ্রাম পুলিশ দুলাল সর্দারের বাড়িতে ভ্যান থেকে চাল নামতে দেখে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কর্মকর্তারা এ চাল জব্দ করেন।

মঙ্গলবার সকাল হতেই শত শত উৎসুক জনতা সরকারি চাল চুরির সময় ধরা পরার খবর ছড়িয়ে পড়লে দুলাল সর্দারের বাড়িতে হাজির হয়।

এ সময় স্থানীয়রা গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়, মাঝে মধ্যেই এই বাড়িতে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ ভ্যানে করে নিয়ে আসে আবার এ বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।
এতদিন কেউ ভয়ে মুখ খোলেনি দুলাল সর্দারের বিরুদ্ধে। দুলাল সর্দার একজন গ্রাম পুলিশ ও তার ভাই হেলাল সর্দার একজন সরকারি কর্মকর্তার গাড়িচালক।

একইসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুরের সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল্লাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন আলম সাহাবুর বলেন, গ্রাম পুলিশকে দিয়ে একটি এতিমখানায় জন্য ঐ চাল আমি পাঠিয়েছি। পরদিন দিনের বেলায় ঐ চাল এতিমখানায় দিয়ে দেওয়া হতো।

এদিকে গ্রাম পুলিশ দুলাল সর্দার বলেন, চেয়ারম্যান তাকে ৮০০ কেজি চাল দিয়ে বলেছে স্থানীয় একটি এতিমখানায় দেওয়ার জন্য। আমি সেখানে রাতের বেলায় না দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি দিনের বেলায় দেওয়ার জন্য।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম কুদরত এ খুদা বলেন, সমগ্র বিষয়টির মধ্যে অপরাধ দৃশ্যমান রয়েছে। আমি তদন্ত টিম গঠন করে দিয়েছি। তাদের তদন্তের উপর ভিত্তি করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হবে।