চট্টগ্রাম অফিস:
চট্টগ্রাম: ঈদের ছুটিতে সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে ফের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। খুচরায় প্রতি কেজির দাম উঠেছে ৬০ টাকা। দেশি আলু কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ঈদের পর আবার বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দামও।কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে সবজির বাজারেও এখনো স্বস্তি ফিরেনি। অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে মিলছে হাতেগোনা কয়েকটি সবজি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, আতুরার ডিপো, কাজীর দেউড়ি, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, শসা ৪০ টাকা, বাঁধাকপি, গাজর, লাউ ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচ, শিম ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। এর বাইরে পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স এবং পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বরবটি আর শিমের বিচি। এছাড়াও কাকরোল ১৬০ টাকা কেজি এবং করলা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজিও আসছে কম। এরমধ্যে শীতের সবজি নেই বললেই চলে। ঈদের পর থেকে সরবরাহ কমে গেছে। অনেকে এখনো বাড়ি থেকে ফিরেনি। বেশি দাম দিয়ে সবজি আনতে হচ্ছে। তাই দামও পাঁচ-দশ টাকা বেশি।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৩০ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকায়, দেশি মুরগি ৬০০ টাকায়। এছাড়াও গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকায়, কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকায়, রুই ২৬০-৩২০ টাকায়, বাগদা চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকায়, রুপচাঁদা ৫৫০-৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, সুরমা ৩৫০-৬৫০ টাকায়।
চকবাজারের বাজার করতে আসা আব্দুল মালেক সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, একদিন এক সবজির দাম বাড়ে তো অন্যদিন আরেক সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে৷ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়। মধ্যস্থানে আমরা ক্রেতারা বিপদে আছি। বাড়তি আয় নেই তাই কম কিছু কিনে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই। এক লাফে আলুর দাম বেড়েছে ১৫ টাকা।