নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা: জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বুধবার (২০ মার্চ) ভাসানচর ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস (রাজকন্যা) ভিক্টোরিয়া।
ঢাকার ইউএনডিপি অফিস জানায়, ভাসানচর এবং কক্সবাজার সফরের সময় সুইডিশ রাজকন্যা ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, আইওএম, ইউনিসেফ, ইউএনউইম্যান এবং ইউএনএফপিএসহ একাধিক জাতিসংঘ সংস্থার সহায়তায় পরিচালিত কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের জীবনে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং তাদের কল্যাণে পরিচালিত বিভিন্ন সহায়তা পরিসেবা সম্পর্কেও ধারণা নেন তিনি।
এছাড়াও ভূমিধস এড়াতে নরওয়ের অর্থায়নে ইউএনডিপির উদ্যোগে পরিচালিত দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান নির্ভর উদ্যোগগুলো পরিদর্শন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত। তার এই সফর ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনের জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে আরও জোরদার করবে।
পরে তিনি কক্সবাজারে সরকারের খুরুশকুল আশ্রয়ণ হাউজিং প্রকল্পের এলাকাটি পরিদর্শন করেন, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য টেকসই আবাসন নিশ্চিত করা হয়েছে। আগের দিন, তিনি বঙ্গোপসাগরের জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপ হাতিয়ার বাসিন্দাদের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে জানতে দ্বীপটি পরিদর্শনে যান।
ক্রাউন প্রিন্সেস সেখানকার আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং কীভাবে এটি হাতিয়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভূমিকা রাখছে তা সম্পর্কে ধারণা নেন।
এ সময় সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশন্স ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মদির, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়োহান ফরশেল, অন্যান্য সরকারি ও জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা।
সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ও ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত ভিক্টোরিয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজির প্রচারণার উদ্দেশে সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকায় আসেন। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত সূচি অতিবাহিত করবেন।
সুইডিশ রাজকন্যাকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।