মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু,
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি ইউনিয়নের নতুন ৮ জনসহ ২ দিনে আরও ২৪ জন মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বাংলাদেশ আশ্রয়ের জন আত্মসমর্পণ করেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের এক বিজ্ঞপিতে জানানো হয় বৃহস্পতিবার টেকনাফের নাফ নদী হয়ে আসা ১৩ জন মিয়ানমার বিজিপি সদস্যকে কোস্টগার্ড বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। যার সংখ্যা দাড়ায় ২৪-এ।
একই দিন বৃহস্পতিবার নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৩ সদস্য আসেন অস্ত্রবিহীন। তাদের চাকঢালা সীমান্ত দিয়ে ওই দিন মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলেও আজ শুক্রবার ওই তিন সদস্যকে চাকঢালা আমতলী মাঠে ঘুরতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায় মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসা দেশটির সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও সেনা সদস্যদের ফেরত নিতে আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার মিয়ানমার থেকে জাহাজ আসবে। আবহাওয়া ভালো থাকলে দ্রুততার সঙ্গে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন,মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ২২ অথবা ২৩ এপ্রিল জাহাজ আসবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু তাদের চলে যাওয়াটা আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে। যার কারণ মৌসুমি বায়ুর প্রভাবের কারণে সমুদ্র এই সময় কিছুটা অশান্ত থাকে।
সেনা ও বিজিপি সদস্যদের কীভাবে পাঠানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এর আগে সমুদ্র পথে প্রথম বার ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এবারেও একই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।‘
রাখাইন পরিস্থিতি ঘোলাটে এবং মিয়ানমারের এই বাহিনীর আরও সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে তিনি জানান।
বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির আশ্রয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮২ সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে আছেন।