ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মিঠাপুকুরে পাওয়া গেল ৩৫ বছর আগের ল্যাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম লাট কৃষ্ণপুর।

সেখানেই পাওয়া গেল ৩৫ বছর আগের একটি ল্যাম্প। ল্যাম্পটি মাটির তৈরি। ল্যাম্পটির গায়ের রং কালো। ল্যাম্পটির ডিজাইন করা। তবে এই ল্যাম্পের মত ল্যাম্প কোথাও দেখা যায়নি।

ল্যাম্পের বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, এখা‌নে মোঃ শুকুর আলী ও তার পরিবারসহ বসবাস করে আস‌ছে।

আজ থেকে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর আগে মোঃ শুকুর আলী মাটির হাঁড়ি-পাতিলের ব্যবসা করতেন। তখন থেকেই এই ল্যাম্পটি তারা বাড়িতে ব্যবহার করত। এখন ল্যাম্পের যুগ নেই।

এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাই আগের মত কারো বাড়িতে এই ধরনের ল্যাম্প খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ সব জায়গায় এখন বিদ্যুৎ চলে এসেছে।

এইদিকে মোঃ শুকুর আলীর স্ত্রী মোছাম্মদ জোসনা বেগমের কাছে ল্যাম্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ঘরে এই ল্যাম্পের বয়স অনেক অনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী যখন মাটির হাঁড়ি পাতিল এর ব্যবসা করত ওই সময় এই ল্যাম্প নিয়ে এসেছিল তখন থেকে আমি এই ল্যাম্পটি ব্যবহার করেছিলাম, আর এখন আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ চলে এসেছে তাই আমরা এখন ল্যাম্পটি ব্যবহার করিনা। যার কারণে ল্যাম্পটি গায়ে সাতা ধরেছে। ব্যবহার না করলেও ল্যাম্পটি খুব যত্ন করে রেখে দিয়েছি।

মোঃ শুকুর আলীর বড় ছেলে মোঃ জোনাব আলী বলেন, আমি যখন থেকেই বুঝমান হয়েছি তখন থেকেই দেখে আসছিলাম এই ল্যাম্পটি।

আমাদের অত্র এলাকায় যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন আমি নিজেই ল্যাম্পটি জ্বালিয়ে লেখাপড়া করতাম। ল্যাম্পটি কেরোসিন তেলের সাহায্যে জ্বালতো। আর এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ সবার বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ হয়েছে সেই কারণে এই ল্যাম্পটি আর ব্যবহার করা হয় না। সে কারণে ল্যাম্পটির গায়ের রং কালো ব্যবহার না করার কারণে ল্যাম্পটি গায়ের রং নষ্ট হয়ে গেছে।

 

মোঃ জোনাব আলী আরও বলেন, এই ল্যাম্পটি আমার বাবা-মায়ের শেষ স্মৃতি তাই আমি এটাকে খুব যত্ন করে রেখে দিতে চাই।