মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি :
প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন রহিমল হাসান বাবু (২৩) নামে এক যুবক। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ৫নং সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের পাইলটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ উদ্ধার করে রোববার নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
সোমবার মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি জানান, রহিমল হাসান বাবু উপজেলার পাইলাটি গ্রামের হাবিবুল মিয়ার ছেলে।
বাবুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকা মেয়ে (১৮) একই গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। তারা ঢাকায় পোশাক কারখানায় একই সঙ্গে চাকরি করতেন।বাবুর পরিবারের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, পারিবারিক সম্পর্কে চাচাতো বোন এর সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল বাবুর।সেই মেয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতো।
বাবুও পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাদে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে মেয়ে ও তার বাবা মা। তাদের পরিবারের লোকজন মেয়ের সঙ্গে বিয়ের অন্যত্র আলোচনা করতে থাকে তারই ফুফাতো ভাই বারহাট্টা এলাকার সায়েম মিয়ার সঙ্গে।এ খবরে বাবুর পরিবার বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে আলোচনা করতে মেয়ের বাড়িতে যান। কিন্তু বাবুর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হননি মেয়ের পরিবারের স্বজনরা।
পরে এ বিষয় নিয়ে এলাকার লোকজন নিয়ে আলোচনায় বসলে তাও ব্যর্থ হয়। পরে শুক্রবার রাতে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে পারিবারিকভাবে পাকাপাকি হয়। শনিবার সকালে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় তার বাবা-মা।এতেই ক্ষোভে ওইদিন সন্ধ্যায় নিজের ঘরের কেবিনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রেমিক বাবু। বাবুর চাচা কামাল মিয়া জানান, বাবুর সঙ্গে ওই মেয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল।
ঢাকায় একসঙ্গে চাকরিও করত তারা দুজন। বিয়ের জন্য আমরা সবাই গিয়েছি মেয়ের বাবাসহ পরিবারের সবার কাছে। কিন্তু তারা বিয়ে দিতে রাজি হয়নি।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাজন মিয়া বলেন, বাবুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই মেয়ের। অন্যত্র বিয়ে দেওয়ায় সে হয়তো ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে বাবু।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাবুর লাশ উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে প্ররোচনা মামলা দায়ের করা হয়েছে।