আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে পৃথক হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা এমনটি জানিয়েছেন।
প্রদেশটি আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্ত লাগোয়া।শুক্রবার মহাসড়কের একটি বাস থেকে নয়জনকে অপহরণের পর হত্যা করা দুর্বৃত্তদের করেছে, পুলিশ তাদের খুঁজছে। একই দুর্বৃত্তরা গাড়ি থামিয়ে দুজনকে হত্যা করে।
ডেপুটি কমিশনার হাবিবুল্লাহ মুসাখেল বলেন, সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা রাস্তা আটকে বাস থামিয়ে নয়জনকে নিয়ে পাহাড়ে পালিয়ে যায়। এ নয় যাত্রীর সবাই পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের। মহাসড়ক থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে একটি সেতুর নিচ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কুয়েটা-তাফতান মহাসড়কে নুশকির কাছে সুলতান চরহাইয়ের আশপাশে এ ঘটনা ঘটে। ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী এতে যুক্ত বলে জানান মুসাখেল।
শুক্রবার ভোরে একই বন্দুকধারীরা একটি গাড়িতে গুলি চালিয়ে থামাতে চায়। এতে দুজন নিহত এবং ছয়জন আহত হন। অপরাধীদের খোঁজা হচ্ছে বলে জানান ডেপুটি কমিশনার।
ওই বাসের যাত্রী সাজ্জাদ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, বাসে মোট ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। মুখোশধারী কয়েকজন লোক নুশকি শহরের কাছে বাসটি থামায় এবং নয়জনকে নিয়ে চলে যায়। চালককে গাড়ি চালিয়ে যেতে বলে।
তিনি বলেন, আমরা যখন চলে যাচ্ছিলাম, তখন শুনতে পাই অস্ত্রধারীরা গুলি চালাচ্ছে। চালক বাসটি নিকটবর্তী পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যান। আমরা জানি না, তারা বেঁচে আছেন কি না।
৪৬ বছর বয়সী প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ ইমরান বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, হামলাকারীরা বাসে উঠে সেই যাত্রীদের তিরস্কার করে বলে, তোমরা পাঞ্জাবিরা আমাদের বাচ্চাদের মেরে ফেল, ওঠো আমাদের সাথে এসো।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ হামলার নিন্দা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন।