মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ব্যুরো প্রধাম ময়মনসিংহ
ফেসবুকে দুটি ভিডিও নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়েছে ময়মনসিংহে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। দাবি করা হচ্ছে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান তনুর।
এ বিষয়ে ইসরাত জাহান তনু সিএনএন বাংলা২৪ কে বলেন, কী অপরাধে আমাকে বহিষ্কার করল তা আমি জানি না। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার ব্যক্তিগত লাইফটাকে হেয় প্রতি পুণ্য করার জন্যে এই ষড়যন্ত্র মূলক চক্রান্ত করিতেছে ।
তবে ভুক্তভোগী নারীর দাবি, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার প্রতিপক্ষ গ্রুপ ও সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনির তথাকথিত কিছু ফেসবুক সাংবাদিক দিয়ে আপত্তির ফেক ছবি ও ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে সম্মানহানি করার পাশাপাশি তাকে নির্বাচন থেকে সরানোর পাঁয়তারা করছে। এর প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিও গুলোর কারণে এরই মধ্যে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান তনুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে ইশরাত জাহান তনুর দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। নিয়েছেন প্রশাসনের আশ্রয়।
৪ এপ্রিল মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে মদপান ও ইয়াবা সেবনের স্থীরচিত্রি এবং ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করা হয়। পরে একে একে বিভিন্ন আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় ছবি ও ভিডিও।
ভুক্তভোগী ওই যুব মহিলা লীগ নেত্রীর দাবি, তার সাবেক স্বামী খাইরুলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় সে কিছু সাংবাদিক ও লোকজন দিয়ে তাকে হয়রানি এবং ব্লাকমেইল করছেন। এবার ফেসবুকে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে অর্থ দাবি করে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নেত্রীর কিছু ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার কথাও বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তনু বলেন, আমার বহিষ্কার হওয়ার পেছনে এবং নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরাতে আমার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলম মনিরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতিপক্ষরা। ২০২২ সালের একটি ভিডিওতে কিছু ছবি এডিট করে আমার নামে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।যা সম্পূর্ণ ফেক ও ভিত্তিহীন।
আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ও বদরুল আমিনসহ কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি এবং আইসিটি আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করেছি। আশা করি, ন্যায় বিচার পাব।
জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক বিলকিস খানম পাপড়ি সিএনএন বাংলা২৪ কে বলেন, তার বহিষ্কারের বিষয়টি সঠিক। কিন্তু ফেসবুকে ছড়ানো ছবি ও ভিডিওগুলো ফেক। সেগুলো যে তনুর না সেটি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তার পদের বিষয়েও সুপারিশ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।