ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের কমিটিতে ত্যাগীদের স্থান না হওয়ায় অনশন

আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া:

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ১৯৯১ সালের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য,পটিয়া সরকারী কলেজ ও পটিয়া উপজেলা এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দলের দুঃসময়ের কান্ডারী, পটিয়ার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান আলী আকবর সিদ্দিকী সদ্য অনুমোদিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তিনিসহ অসংখ্য ত্যাগী নেতাদের স্থান না হওয়ায় দলের ধানমণ্ডিস্থ সভানেত্রীর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিট থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন।

তবে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্য শ্রবণ শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে তিনি অনশণ ভাঙতে সম্মত হন। এ ব্যাপারে আলী আকবর সিদ্দিকীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিট থেকে ধানমন্ডি সভানেত্রীর কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘ ৪৪ বছরের রাজনীতির স্বীকৃতির জন্য আমরন অনশণ শুরু করি।

 

তিনি বলেন, ‘আমি সুদীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছি।নিজের জীবন-যৌবন সব দলের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে জামায়াত, শিবির, বিএনপি আর দলছুট দুর্বৃত্তরা পদ পদবী পেয়েছে। অথচ আমি ‘৯১ সালে জেলা আঃ লীগের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলাম। আজ আমার মতো অনেক ত্যাগী ও দলের নির্ভরশীল নেতাকর্মীরা পদ পদবী পাননি। এটা খুবই দুঃখজনক। সামনে আওয়ামী লীগের জন্য আসছে খুবই কঠিন দিন। এ সময়ে দলের অস্থিত্ব রক্ষার জন্য যেখানে দলের জন্য পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে রাখার প্রয়োজন ছিল সেখানে নীতি নির্ধারকদের এ সিদ্ধান্ত

দলের জন্য আত্মঘাতী হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নিই।দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভাই আমার বক্তব্য শ্রবন করে আমি কি চাই তা জানতে চেয়েছেন। আমি ত্যাগের স্বীকৃতির কথা তুলে ধরলে তিনি শীঘ্রই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ায় আমি অনশণ ভঙ্গ করেছি।

তিনি দলের সব ত্যাগীদের যথাযথ মূল্যায়নেরও দাবি জানান।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪