নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকায় দুই দেশের নিরাপত্তা সংলাপ শেষে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি আরও জানান, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ নিরাপত্তা সংলাপে বসে ঢাকা ও ওয়াশিংটন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক। আর বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম। এতে গুরুত্ব পায় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি, র্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ইস্যু।
যে কারণে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপযে কারণে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপ
নিরাপত্তা সংলাপ শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন মিরা রেজনিক। সচিব বলেন, জানতে চাওয়া হয় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা বলেছি যে ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী নিজেও অনেকবার বলেছেন, বিদেশিদের কাছেও বলেছেন। নির্বাচন কমিশন এখন বাকি কাজগুলো করছে। সেখানে যেমন কয়েকদিন আগে ট্রেনিংয়ের প্রোগ্রাম শুরু হলো। ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের জন্য যদি কোনো সাহায্য লাগে সেটি করতে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) রাজি আছে।’
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ মঙ্গলবারযুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ মঙ্গলবার
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র আবারও জানিয়েছে বাহিনীতে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে নেয়া সব পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ওদের যে অফিসিয়াল সিস্টেম সেটা তো করতেই হবে। আমরা অফিসিয়ালি বলেছি, যে আমরা সজাগ আছি এবং আমাদের এখানে ইমপিউনিটির কোনো সুযোগ নাই। ওদের যে সিস্টেম আছে ওফাকের সেখানে আমরা আমাদের যে রিটেন সাবমিশন সেটা দেওয়া হয়েছে। এখন এটা ওদের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যেতে হবে।’
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ওয়াশিংটনকে আহ্বান জানায় ঢাকা।