কক্সবাজার অফিস :
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে অপহরণের ২২ দিন পর কুমিল্লা থেকে মাদ্রাসার ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, একটি রোহিঙ্গা পরিবার এই অপহরণে জড়িত।
রোববার সকালে টেকনাফ মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনেঅতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল আহমেদ (উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) মোহাম্মদ রাসেল বলেন, “গত রাতে কুমিল্লার লালমাই থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত ১৭ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে আটজন রোহিঙ্গা। তারা পুরো পরিবার মিলে অপহরণ চক্র গড়ে তুলেছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি বলেন, “পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করলে এই চক্রের সদস্যরা শিশুটিকে নিয়ে একের পর এক স্থান পরিবর্তন করে।প্রথমে টেকনাফ ঈদগাঁও এলাকায় রাখা হয়। ওখান থেকে নেওয়া হয় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার দুর্গম পাহাড়ে।
“সেখানে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা শিশুটিকে কুমিল্লার লালমাই এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা একটি ভাড়া বাসায় ছিল। মুক্তিপণের চার লাখ টাকা পৌঁছে দেওয়ার কৌশলে শনিবার দুপুরে ছোয়াদকে উদ্ধার করা হয়,” বলেন ওসমান।
গত ৯ মার্চ টেকনাফের হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে অপহরণ করা হয়। ছোয়াদ ওই এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে।