ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্মার্টফোনকে ঝামেলা ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের তিন-চতুর্থাংশ কিশোর কিশোরী

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:

স্মার্টফোনকে ঝামেলা মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চার জনের মধ্যে তিনজন কিশোর-কিশোরী। তারা বলেছে, স্মার্ট ফোন ছাড়াই তারা ভালো থাকে, শান্তি অনুভব করে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপে সোমবার এ কথা বলা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

 

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক বা একেবারে কিশোর বয়সীদের মধ্যে স্মার্ট ফোন অর্থাৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাত্রাতিরিক্ত অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করার ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে সমীক্ষাটি চালালো পিউ রিসার্চ সেন্টার।

 

পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চারজন কিশোর বয়সীর মধ্যে তিনজনই বলেছে, তাদের সঙ্গে যখন স্মার্টফোন না থাকে, তখন তারা নিজেদের সুখী বা শান্তিপূর্ণ বোধ করে।

 

তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনকে দূরে সরিয়ে রাখার ব্যাপারে একটি বড় অংশের মধ্যে এই ইতিবাচক মনোভাব থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৩৬ শতাংশ কিশোর-কিশোরী স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করেছে।

 

সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ শতাংশ কিশোর-কিশোরী স্মার্টফোনে অত্যধিক সময় ব্যয় করে থাকে। স্মার্টফোনে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি অত্যধিক সময় ব্যয় করে থাকে। তবে ৫১ শতাংশ বলেছে, তারা স্মার্টফোন নিয়ে যতটুকু সময় কাটিয়েছে, বুঝেশুনে সেটি ‘সঠিক’ ছিল।

 

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের ৩৯ শতাংশ বলেছে, তারা অত্যধিক সময় ব্যয় করে না। অন্যদিকে ২৭ শতাংশ অধিক সময় ব্যয় করে।

 

জরিপে আরও দেখা গেছে, স্মার্ট ছাড়া থাকায় অস্বস্তি বা উদ্বেগ অনুভব করে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ। প্রতি ১০ জনের ৬ জন বলেছে, স্মার্টফোন না থাকার কারণে তারা কখনো কখনো উদ্বিগ্ন, বিচলিত বা নিঃসঙ্গ বোধ করে।

 

অপ্রাপ্তবয়স্কদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

 

৪০ টিরও বেশি মার্কিন রাজ্যে গত বছর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিক কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে মামলার ঘোষণা আসে এবং প্রযুক্তি জায়ান্টটির বিরুদ্ধে প্ল্যাটফর্মগুলোতে আসক্তিমূলক বৈশিষ্ট্য তৈরি করে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়।

 

ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে মার্কিন সিনেটে উপস্থিত হয়ে স্মার্টফোনে আসক্তির শিকার শিশুদের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন মেটা প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ।