নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা :
নে রেখে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপের উদ্যোগ হিসেবে আগামী শনিবার (৪ নভেম্বর) দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপি সহ দেশের ৪৪টি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি।মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ইসি কার্যালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইসি সচিব বলেন, সংলাপের জন্য দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা তাদের নির্ধারণ করা দুই প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত সব দলকে দুই ভাগে সংলাপের জন্য ডাকা হবে।নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বিএনপি চাইছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। অন্যদিকে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই ইস্যুতে বিএনপির চলমান আন্দোলনের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসার উদ্যোগের কথা জানাল ইসি।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হতে হবে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৯ জানুয়ারি। হিসাব অনুযায়ী, ৯০ দিনের গণনা শুরু হবে ১ নভেম্বর থেকে।নির্বাচন কমিশন নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা ও জানুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।এদিকে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৈঠক করেছেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ কেমন- পিটার হাস সেটি জানতে চেয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের হাতে কোনো অপশন নেই। নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এবং নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে হবে।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, পিটার হাস বিশ্বাস করেন, সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। কথাটা আমরাও বলে এসেছি এবং বিশ্বাস করি। রাস্তায় শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা মনে করি না। পিটার হাসও তাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে বসে চা-চক্রের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। পিটার হাসও সবাইকে আহ্বান করবেন, সংলাপের মাধ্যমে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সমাধান হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন অপশন থাকে। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও পারে, নাও করতে পারে। তারা এককভাবে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, আবার জোট করেও নির্বাচন করতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অপশন আছে কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সেই ধরনের কোনো অপশন নেই। স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্ধারিত পদ্ধতি এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।