স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ‘ডাকাত সন্দেহে’ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহতাবস্থায় একজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) ভোররাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাগরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা।
তিনি জানান, তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তার মৃত্যু হয়। অপরজনকে আহতাবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ আলী। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানতে পারেনি পুলিশ।
গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে চাইলাউ মারমা বলেন, রাতে একদল ডাকাত তাদের গ্রামে ঢোকে। পরে সবাই ডাকাতদের পিটুনি দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, আহত একজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সে জানিয়েছে, তারা আট-দশ জন মিলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রমজান মাস হওয়ায় গ্রামের লোকজন তখন জেগে ছিলেন। ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাগরি গ্রামের বাগরি বিলে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। তাদের গতিবিধি দেখে ডাকাত বলে সন্দেহ করে। পরে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ‘গ্রামে ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দিলে গ্রামবাসী বিলের সামনে জড়ো হন। তাদের ধাওয়ায় ওই ব্যক্তিরা বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ধরে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন।
সোনারগাঁয়ের পরিদর্শক তদন্ত মহসিন মিয়া জানান, নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত ডাকাত দলের সদস্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরও একজন হাসাপতালে মারা গেছে। বাগরী গ্রামে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি নিহতের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি।