নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস বলেছে, বুধবার দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় তাদের একজন সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে লেবাননের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। খবর এএফপির।
অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামাস ও তাদের মিত্র হিজবুল্লাহ প্রায় নিয়মিতই ইসরায়েলের সঙ্গে গোলাগুলি করে আসছে। লেবাননের ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোও আন্তঃসীমান্ত হামলার দাবি করেছে।
হামাস বলেছে, লেবাননে তাদের সশস্ত্র শাখার সদস্য হাদি মুস্তাফা একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে হামলায় নিহত হয়েছেন।
এএফপির একজন ফটোগ্রাফার ক্যাম্পের কাছে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়ির ধ্বংসস্তূপ দেখেছেন।
লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, হামলায় একজন সিরিয়ান পথচারীও নিহত হয়েছেন।
জানুয়ারিতে লেবাননে প্রাণঘাতি একটি হামলা চালানো হয়েছিল। একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা তখন বলেছিলেন এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় হামাসের ডেপুটি লিডার সালেহ আল-আরুরিসহ আরও ছয়জন নিহত হয়েছিল।
সালেহ আল-আরুরি ছিলেন যুদ্ধের সময় নিহত হওয়া হামাসের সবচেয়ে বড় নেতা।
ফেব্রুয়ারিতে নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে এএফপি জানিয়েছিল, হামাসের একজন সিনিয়র অফিসার বৈরুতের দক্ষিণে একটি হত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন।
আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির জবাবে ইসরায়েল লেবাননের ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান গভীর লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার দুইজন এবং সোমবার একজন নিহত হয়েছে বলে নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
যুদ্ধের পর থকে লেবাননে কমপক্ষে ৩২১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রধানত হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা রয়েছেন। তবে ৫৫ জন বেসামরিকও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, আন্তঃসীমান্ত হালায় তাদের কমপক্ষে ১০ সেনা ও সাত বেসামরিক নিহত হয়েছেন।