সালেহ আহমদ (স’লিপক):
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক, জেলা নাট্য পরিষদ (জেনাপ) মৌলভীবাজারের সভাপতি কবি আব্দুল মতিনের ওপর হামলার ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় সেই হামলাকারী কয়েছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেছে আদালত।
জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১১টায় মৌলভীবাজার শহরের সেন্ট্রাল রোডের ওয়েস্টার্ণ প্লাজার সামনে হামলার শিকার হন সাংস্কৃতিক সংগঠক, প্রগতিশীল লেখক নাট্যকার আব্দুল মতিন। এই খবর জানার পর নিন্দার ঝড় বয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
জানা যায়, হামলাকারী কয়েছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেছিলেন ভিপি আব্দুল মতিন। সেই মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ ছিল ১ ফেব্রুয়ারী। সেই জের ধরেই কয়েছ চৌধুরী গংরা আব্দুল মতিনের উপর হামলা চালায়। গত ২৯ জানুয়ারী সকালে জেলা শহরের চৌমোহনা চত্বরে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাট্যকার আব্দুল মতিনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় বয়। প্রবীণ এই সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বের উপর এ ন্যাক্কারজনক হামলা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেন জেলার সংস্কৃতিজনসহ সচেতন নাগরিক সমাজ।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) মৌলভীবাজার জজ আদালতে কয়েছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ টাকা এবং এক বছরের জেল প্রদান করে রায় দেন ২য় যুগ্ম জজ আদালতের বিচারক মোঃ জিয়াদুর রহমান। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আব্দুল মতিনের আইনজীবি ময়নুর রহমান মগনু।
আব্দুল মতিন বলেন, চেকের মামলার কারণে কয়েছ সহ ৩ থেকে ৪ জন অচেনা সন্ত্রাসীরা আমার উপর আক্রমণ করে। গাড়ীর নীচে ধাক্কা মেরে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করেছিলো তারা। কয়েছের মূল খুটি জনৈক জনপ্রতিনিধি আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি সরকারী গাড়ীতে তাকে নিয়ে চলাফেরা করে বিভিন্ন অপরাধ করে থাকেন। ওই জনপ্রতিনিধির মাধ্যমেই সে এখন আইনের ধরাছুঁয়ার বাহিরে আছেন।
আইনজীবি ময়নুর রহমান মগনু বলেন, ২০১৯ সালে আামার বাদী আব্দুল মতিন মামলা দায়ের করেছিলেন। আজ ২য় যুগ্ম জজ আদালত রায় প্রকাশ করেছেন। আমরা আইনী লাড়াইয়ে সুবিচার পেয়েছি। বিবাদী বিভিন্ন সময় আমার বাদীকে হুমকি দেন। রায়কে কেন্দ্র করে হামলাও চালায়, আমরা তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনে অভিযোগ দিয়েছি।