ই-পেপার | শুক্রবার , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রধানমন্ত্রীকে ফিলিপাইন ও গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে গাম্বিয়া ও ফিলিপাইন।

 

শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা ব্যারো লিখেছেন: ‘গাম্বিয়ার সরকার ও জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আপনাকে আমাদের উষ্ণ অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।


তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের অনেক ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য গাম্বিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকারের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করার এই সুযোগটি নিতে চাই। ’

প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা সবশেষে বলেন, ‘যদিও আমি আপনাকে পুনরায় নিশ্চিত করতে চাই, গাম্বিয়া সরকার গাম্বিয়া প্রজাতন্ত্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বকে মূল্য দেয়। ’

এছাড়া অভিনন্দনবার্তায় ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ আর মার্কোস আইআর লিখেছেন, ‘ফিলিপাইন সরকারের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আপনি পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে (শেখ হাসিনা) আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের জন্য নতুনভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফিলিপাইন। কারণ ‘আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং আমাদের উভয় জনগণের স্বার্থে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করার জন্য আমাদের ইচ্ছাকে পুনর্ব্যক্ত করছি। ’

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি আপনার (শেখ হাসিনা) সাফল্য কামনা করি কারণ আপনি আপনার দেশকে আরও অব্যাহত উন্নয়ন এবং অগ্রগতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের রায় পেয়েছেন। ’

এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে পাঠানো লিখিত চিঠিতে সংস্থাটির মহাসচিব ডোরেন বোগদান-মার্টিন বলেন, ‘আমি এই গুরুত্বপূর্ণ এই পদে আপনার সাফল্যের জন্য আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এবং আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধি, ঐক্য, প্রবৃদ্ধি এবং প্রতিটি সাফল্য কামনা করছি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আইসিটি-এর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অগ্রগতিতে আপনার দেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি এবং পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই এবং আমি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের অব্যাহত সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি। ’

মহাসচিব সবশেষে বলেন, ‘আমরা আপনার দেশকে টেলিকমিউনিকেশন এবং আইটি ক্ষেত্রে যেকোনো উপায়ে সহায়তা করার জন্য বরাবরের মতো প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত সফল সহযোগিতার জন্য অপেক্ষায় আছি। ’