নিজস্ব প্রতিনিধি, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জের আওতাধীন মাছুয়াখালী বনবিটের হেডম্যান পরিচয় দিয়ে বনবিভাগের সংরক্ষিত ও সামাজিক বনায়নের গাছ চুরি করে বিক্রি করে আসছেন নেছারউদ্দিন নামের এক বনখেকো।
অভিযুক্ত নেছার উদ্দিন ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালির ছড়া এলাকার উত্তরপাড়ার ছাবের আহমেদের পুত্র।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, নেছার উদ্দিন তার পিতা-দাদার রেওয়াজ অনুসারে স্থানীয় মাছুয়াখালী বনবিটের হেডম্যান। কাগজে-কলমে না হলেও হেডম্যান পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত এবং সামাজিক বনায়নের গাছ চুরি করে পিকআপ ও ট্রলিযোগে বিভিন্ন ইটভাটা, করাতকল, হাট-বাজার ও বেকারিতে বিক্রি করে আসছেন।
স্থানীয় অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গাছ চুরিতে লিপ্ত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বনবিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, নেছার উদ্দিন কোনো সময়েই হেডম্যান ছিলেন না। মূলত তার দাদা ছিলেন হেডম্যান। সেই সুবাদে বনবিভাগের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দহরম মহরম সম্পর্ক গড়ে তুলে দিব্যি বনজ সম্পদ ধ্বংস করে চলেছেন।
উপকারভোগী আবদুল মজিদ ও সিরাজুল ইসলাম জানান, তাদের কয়েকটি সামাজিক বনায়নের প্লট থেকে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি কেটে নিয়ে বিক্রি করে রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন এই নেছার।
তার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ গাছ চোর সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
স্থানীয়রা আরো জানান,কালিরছড়া এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় প্রতিনিয়ত গাছ কেটে সামাজিক বনায়নের প্লট উজাড় করলেও বনবিভাগ যেনো অসহায়।
পরিবেশবাদীরা বলেন, বনখেকো নেচারের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের মৌখিকভাবে জানানো হলেও কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি বন বিভাগ। ফলে বেপরোয়াভাবে বনজ সম্পদ ধ্বংস করে প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতি করে আসছেন বন বিভাগের হেডম্যান পরিচয়দানকারী নেছার উদ্দিন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নেছার উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘একজন হেডম্যান হিসেবে বনজ সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে’।
ঈদগাঁওর মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমান বলেন, ‘অভিযুক্ত নেছারের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
নতুন ভাবে জরুরি অবস্থার জারির ফলে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচন আবারও পিছিয়ে যাবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনে অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল মিয়ানমারে সামরিকবাহিনী। এই ঘটনায় মিয়ানমারজুড়ে জান্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে তারা ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন শুরু করে।
সেই দমনপীড়নের জবাবে গণতন্ত্রপন্থী নেতা মিলে গঠন করেন জাতীয় ঐক্যের সরকার। সেই সরকারের ছত্র ছায়ায় মিয়ানমারে জান্তার বিরুদ্ধে শুরু হয় সশস্ত্র লড়াই। সেই লড়াইয়ে যোগদেয় দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের নৃ-গোষ্ঠীভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী। যারা সীমান্ত অঞ্চল গুলোতে একের পর এক জান্তা বিরোধী সফল সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে আসছে।