ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্রীমঙ্গলে কৃষকদের সাথে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

সালেহ আহমদ (স’লিপক):

 

কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ডক্টর মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি বলেছেন- কৃষককেও উদ্যমী হয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তিনি নিজেও একজন কৃষক। প্রতিটি কৃষককে মাথায় রাখতে হবে এক ইঞ্চি জমিও যেনো অনাবাদী না থাকে। তাহলেই দেশে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হবে না।

 

শনিবার (২৭ জানুয়ারী) সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে কৃষক ইন্দুভূষণ পালের বাড়িতে আয়োজিত কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে কৃষকরা তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

এসময় বৈঠকে কৃষকরা বলেন, সেচ সুবিধা না থাকায় শ্রীমঙ্গলের ৮হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের বাইরে রয়েছে।

 

কৃষি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই তিনি বলেছিলেন, কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে কৃষকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হবে। তার ওই ঘোষণার দু’সপ্তাহের মধ্যে তিনি উঠান বৈঠক করলেন।

 

ইন্দুভূষণ পাল শ্রীমঙ্গল এলাকার অন্যতম একজন বড় কৃষক। তাঁর বাড়ির আঙ্গিনায় একদিনে আলু ও পালং শাকের ক্ষেত এবং অন্যদিকে পুকুর, বাঁশঝাড় এবং সিমের বাগান। বাড়ির সামনে ধান শুকানোর বিশাল পাকা উঠানের মাঝেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

 

এসময় বৈঠকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুইটি বেগম মৌলভীবাজারের সামগ্রিক কৃষির চিত্র তুলে ধরে বলেন, সেচের অভাবে এখানে তিন ফসলী কোনো জমি নেই। এলাকায় সরিষা ও সূর্যমুখী চাষ সহ অনেক শষ্যই উৎপাদন করা যাচ্ছে না। ফলে একটি ফসল উঠার পরে দীর্ঘ সময় ফসলের মাঠ ফেলে রাখতে হচ্ছে।

 

কৃষকরা বিদ্যমান রাবার ড্যামের পাশাপাশি আরো কয়েকটি সুইসগেট নির্মাণের দাবি জানান। কৃষিবিভাগ থেকে কৃষকদের কাছে বিলম্বে বীজ পৌঁছানোর অভিযোগ করেন কৃষকরা। তারা বলেন, যে সময়ে কৃষিবীজ পাওয়া যায় সে সময়ে তা কোন কাজে লাগে না। কৃষকদের সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন কৃষিমন্ত্রী।

 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। কৃষক বাঁচলে কৃষি পদ্ধতি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষি শ্রমিকের সংকট দূর করা হবে পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা হবে। অনাবাদী কৃষি জমি আবাদের আওতায় আনা গেলে খাদ্যউদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হবে দেশ।

 

তিনি কৃষিখাতে সরকারের সহযোগিতা আরো প্রসারিত করা হবে উল্লেখ করে বলেন, কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। আগামী ৫০ দিনের মধ্যে এ এলাকার কৃষকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চিহ্নিত সমস্যাগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেন।

 

পরে কৃষিমন্ত্রী কমলগঞ্জে এক সম্বর্ধনা সভায় যোগদান করেন। এতে উক্ত অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার ও রাজনগর -৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এমপি সহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা যোগদান করেন।