চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম: মৌসুমের শুরুতেই রফতানি হচ্ছে শীতকালীন সবজি শিম। সীতাকুণ্ডের ‘রূপবান’ শিম যাচ্ছে ইতালি।
পরীক্ষামূলক ৫০০ কেজি শিম সংগ্রহ করেছে ‘লা আমরে ইমপেক্স’ নামের একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সীতাকুণ্ডে ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে।
বেড়িবাঁধ থেকে শুরু করে মহাসড়কের রাস্তার উভয় পাশে ও জমির আইলে শিমের সমারোহ। পৌর সদরের নুনাছড়া, পন্থিছিলা, সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি ও ভাটিয়ারী ইউনিয়ন এলাকায় শিমের আবাদ হয়েছে। এ অঞ্চলে বিভিন্ন জাতের শিম আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে কার্তিকোটা, বাটা, পুটি, লইট্টা, ছুরি ও রুপবান শিম উল্লেখযোগ্য।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, এ বছর দুই হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫ হাজার কৃষক শিম চাষ করেছেন। এখান থেকে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন শিমের উৎপাদন হবে, যার বাজারমূল্য ১০০ কোটি টাকারও বেশি। স্থানীয় শিম আগেও বিদেশে রফতানি হয়েছে। তবে এবার প্রথমবারের মতো ৫০০ কেজি শিম আকাশপথে ইতালি যাচ্ছে। এই রফতানি অব্যাহত থাকলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে, কৃষকরাও লাভবান হবেন।
পৌরসদরে ইদিলপুর ৮নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মো. আবুল মুনছুরের ছেলে মো. হাসান শিশির জানান, ঢাকা যাত্রাবাড়ীর রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ৬০ টাকা কেজি দরে ৫শ কেজি ‘রূপবান’ শিম কিনেছে। এসব শিম ইউরোপের দেশ ইতালিতে পাঠানো হবে।
রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘লা আমরে ইমপেক্স’ এর মালিক মোহাম্মদুল হোসাইন বলেন, সীতাকুণ্ডের শিমের সুনাম দেশে ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গেছে। ৫০০ কেজি শিম কিনে প্রথমবারের মতো ইতালি পাঠাচ্ছি। তাদের পছন্দ হলে ভবিষ্যতে আরও শিম ও শিমের বিচি রফতানি করতে পারবো।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের মধ্যে সীতাকুণ্ডেই বেশি শিম আবাদ হয়। এখানকার শিম দেশ ছাড়িয়ে ইউরোপে রফতানি হচ্ছে। এটা সুসংবাদ। এতে আমাদের কৃষকসহ সবার ভাগ্য বদলাবে, দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।