ই-পেপার | বুধবার , ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পতাকাবাহী গাড়ি ও পুলিশ প্রটোকল নিয়ে জনসভায় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ:
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পতাকাবাহী গাড়ি ও পুলিশ প্রটোকল নিয়ে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের বিরুদ্ধে। নিজে প্রার্থী না হলেও শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় আরকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিয়ে হাজির হন প্রতিমন্ত্রী।

ওই দিন বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর শহরের আরকে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লাঙ্গল প্রতীকের নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। বিকেল চারটার দিকে সমাবেশ স্থলে হাজির হন প্রতিমন্ত্রী। সামনে পুলিশ প্রটোকলের গাড়ির পেছনে পতাকাবাহী সাদা গাড়ি থেকে নামারা পর জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি স্বাগত জানিয়ে মঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যান প্রতিমন্ত্রীকে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী নিজেই।

এ বিষয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রতিবেদককে বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আপনি ভালো থাকবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন বলে লাইন কেটে দেন। এ বিষয়ে জানতে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মুক্তির নম্বরে একাধিবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান বলেন, এটি স্পষ্ট নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। বিষয়টি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে এবং নির্বাচনী অনুসন্ধানী টিমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।

রিটার্নিং অফিসার ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধানী টিমকে জানানো হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেননি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বাবু এমপি। দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দকে। কিন্তু আসন ভাগাভাগি করে জাতীয় পার্টির কাছে এ আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। যে কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দকে।