ইসলামী জীবন :
জুমার দিন মসজিদে উপস্থিত হয়ে সালাত আদায় করা পরকালে আল্লাহর নুর অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। জুমা আদায়কারীরা পরকালে আল্লাহর বিশেষ আলো দ্বারা আলোকিত হবে। রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ তাবারাক ওয়া তাআলা কিয়ামতের দিন দিনসমূহকে নিজ অবস্থায় উত্থিত করবেন। তবে জুমার দিনকে আলোকোজ্জ্বল ও দ্বীপ্তিমান করে উত্থিত করবেন।
জুমা আদায়কারীরা আলো দ্বারা বেষ্টিত থাকবে, যেমন নতুন বর বেষ্টিত থাকে, যা তাকে প্রিয় ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। তারা অলো বেষ্টিত থাকবে এবং সেই আলোতে চলবে। তাদের রং হবে বরফের মতো উজ্জ্বল ও সুগন্ধি হবে কাফুরের পর্বত থেকে সঞ্চিত মিশকের মতো। তাদের দিকে জিন ও মানুষ তাকাতে থাকবে।
তারা আনন্দে দৃষ্টি ফিরাতে না ফিরাতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের সঙ্গে একনিষ্ঠ সওয়াব প্রত্যাশী মুওয়াজ্জিন ছাড়া কেউ মিশতে পারবে না। (মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস : ১০২৭; ইবনু খুজায়মা, হাদিস : ১৭৩০)
মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা মোতাবেক জুমার দিনের বিশেষ আমল করে মসজিদে রওনা হলে প্রতি পদক্ষেপে এক বছর আমল করার সওয়াব লিখে দেওয়া হয়। আওস ইবনে আওস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করে জুমার সময় শুরুর হওয়ার সাথে সাথে মসজিদে যায়, কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটেই মসজিদে যায় এবং ইমামের নিকটবর্তী হয়ে বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে ও কোনো অনর্থক কাজ না করে, তার জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে। (নাসায়ি, হাদিস : ১৩৮৪)