সালেহ আহমদ স’লিপক:
টানা কয়েকদিনের শৈত্য প্রবাহের ফলে নাজেহাল মৌলভীবাজারের মানুষ। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে মৌলভীবাজার জেলাজুঁড়ে দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। যাতে বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া সহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের আন্তঃ ও বহির্বিভাগে ঠান্ডার প্রকোপে বিভিন্ন বয়সী রোগীর চাপ দেখা যায়। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেডের বিপরীতে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীর স্বজনরা। হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে ওষুধ। মাঝে মধ্যে কিছু ঔষধ কিনতে হচ্ছে ফার্মেসী থেকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক চিকিৎসা সহ প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ জন ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশু ভর্তি হচ্ছে। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীত মৌসুম শুরুর পর থেকেই হাসপাতালে বাড়তে শুরু করেছে শীতজনিত রোগীর চাপ।
চা বাগান থেকে আসা শিশু রোগীর মা চম্পা কুর্মি বলেন, আমার শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিল। তাকে নিয়ে দশদিন হাসপাতালে রয়েছি। এখন সে অনেকটা সুস্থ। তাই আজ বাড়ি ফিরবো।
সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স জানান, শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শিশু ওয়ার্ডে বেডের বিপরীতে অধিক রোগী রয়েছেন।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের (ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক) ডা. বিনেন্দু ভৌমিক জানান, শীতের প্রভাবে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে রোগীর চাঁপও বাড়ছে। প্রতিদিন শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেকে একদিনে আবার কেউ দুইদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।