ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২৭শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভূমি ব্যবস্থাপনায় ই-নামজারিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন এসিল্যান্ড উজ্জল হোসেন

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ময়মনসিংহ:

যোগদান করার পরে থেকেই মানুষ হয়রানি মুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মানুষ যাতে সহজেই ই-নামজারি করতে পারে সেজন্যে সর্ব সময় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন তিনি।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের কার্যক্রমের গতি এনে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ই-নামজারিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড মো. উজ্জল হোসেন।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় কোন মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)। ‍‍দেশের মানুষের, সরকারের এবং আমার নিজের পদ মর্যাদার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এমন কোনো কাজে আমি আপোষ করব না। যেকোনো কর্মস্থলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষগুলো ন্যায়-নীতি, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেবার ব্রত নিয়ে দায়িত্ব পালন করলে, ওই এলাকার উন্নয়ন হবেই ।

পাশাপাশি প্রশাসনের সঙ্গে এলাকাবাসীকেও এগিয়ে আসতে হবে‍‍` কথাগুলো বলেছেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. উজ্জ্বল হোসেন ।

তিনি ৩৬তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার উত্তীর্ণ হয়ে ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদানের মধ্যে দিয়ে চাকরি জীবন শুরু হয় করেন। এই নবীন কর্মকর্তা সদর উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই তার কর্মদক্ষতায় তিনি জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

জানা গেছে, সাধারণ মানুষের কাছে ভূমি অফিসগুলো হচ্ছে দুর্নীতির আখড়া। যেখানে চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত নাকি ঘুস খায়! ভূমি অফিসে সেবা নিতে যাওয়া সেবাগ্রহীতারা অনেক সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কিছু কিছু ইউনিয়ন ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। আবার টাকা নিয়েও সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন উল্টো। মানুষের এ ধরণের ধারণা পাল্টে দিতে উজ্জ্বল হোসেন সদর উপজেলা ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকে গত কয়েক সাপ্তাহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেছেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সেবাগ্রহীতাদের কোনো রকম হয়রানি করা যাবে না। তাৎক্ষণিক মানুষের সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে পরিণতি ভালো হবে না।

এছাড়াও, ময়মনসিংহ সদরের পৌর-ভূমি অফিসসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভূমি সেবা প্রত্যাশীদের জন্য এসিল্যান্ড সদর উপজেলা তার দপ্তরকে উন্মুক্ত করে রেখেছেন। শুনানির দিন আমার দপ্তরে এক কাপ চা খেয়ে যাবেন সেবা প্রত্যাশীদের সে অনুরোধ করেন যে কেউ ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে তার সামনে হাজির হতে পারেন। সপ্তাহে ২ দিন সোমবার ও বুধবার শুনানির দিন নির্ধারিত থাকলেও অন্যান্য দিনগুলোতে ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতাদের সমস্যার কথা শুনেন, তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধানেরও চেষ্টা করেন এসিল্যান্ড মো. উজ্জ্বল হোসেন। ফলে সেবাগ্রহীতারা অল্প সময়ে ও সহজেই সেবা পাচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , একজন সরকারি কর্মকর্তা চাইলেই যে একটা উপজেলার ভূমি অফিসের চিত্র পাল্টে দিতে পারেন, অসহায় মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন, ন্যায়-নীতি, সততা ও আদর্শ মানুষ হিসেবে একজনকে মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জ্বল হোসেন প্রতিবেদক রিয়াদকে জানান ‍‍`আমার কর্মের মূল্যায়ন করবে সেবা গ্রহীতারা। সুন্দরভাবে সদর উপজেলা ভূমি অফিসটি আলোকিত করব। আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।