স্পোর্টস ডেস্ক :
ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরস্কারের (দ্য বেস্ট) সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন লিওনেল মেসি, আরলিং হালান্ড ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। আজ ফিফার ওয়েবসাইটে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের তিন ফাইনালিস্টের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
১৯ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ২০ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছেলেদের ফুটবলে সেরা খেলোয়াড়দের বেছে নিয়েছে ফিফা। সেখান থেকে একজনের হাতে উঠবে বর্ষসেরার পুরস্কার। ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারিতে লন্ডনে প্রদান করা হবে তা।
বছরের সেরা ফুটবলারদের মধ্য থেকে শুরুতে ১২ জনকে বেছে নিয়েছিল ফিফার বিশেষজ্ঞদের প্যানেল। সেই তালিকা থেকে আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ড (যেখানে আছেন জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়ক, ফুটবল সাংবাদিক এবং ফিফার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভোট প্রদান করা সমর্থকরা) বেছে নেন সেরা তিনজনকে।
এবারের মতো গতবারও বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন মেসি। শুধু তা-ই নয়, পুরস্কারটি জিতেও নেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর গত মৌসুমে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিকে লিগ জেতাতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। লিগ ওয়ানে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট ছিল তার। যদিও মৌসুম শেষে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন তিনি। সেখানে গিয়েও জেতেন শিরোপা। ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়ের ভেতর জাতীয় দলের হয়েও দুর্দান্ত খেলেন মেসি। তাই এবারও বর্ষসেরা খেলোয়াড় হওয়ার অন্যতম দাবিদার তিনি।
মেসির মতো পিএসজিকে শিরোপা জেতাতে ভূমিকা রাখেন এমবাপ্পেও। শেষ ২০ ম্যাচে লিগ ওয়ানে ১৭ গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। মৌসুম শেষে সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি লিগ ওয়ানে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনি। পুরো মৌসুমেই ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে।
গত মৌসুমে ট্রেবলজয়ী ম্যানচেস্টার সিটির অন্যতম সদস্য হালান্ড। গতি, শক্তি ও ফিনিশিং সক্ষমতা দিয়ে নাজেহাল করে রাখতেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শুসহ, প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট, সেরা খেলোয়াড় ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন তিনি। ফিফার বেঁধে দেওয়া সময়ের ভেতর ৩৩ ম্যাচে ২৮ গোল করেন এই নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড।
ব্যক্তিগতভাবে যিনি সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাবেন তাহলে তার হাতেই উঠবে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার। তবে পয়েন্ট যদি সমান হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ভেতর যিনি সবচেয়ে বেশি প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকবেন তিনিই হবেন সেরা খেলোয়াড়।
এদিকে ফিফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আইতানা বোনমাতি, লিন্দা কাইসেদো ও হেনিফার এরমোসো।