ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ আছে, ক্রেতা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :

দোকানের বাইরে টাঙানো ‘পেঁয়াজ নেই’, কিন্তু গোডাউনে পাওয়া গেছে বস্তা বস্তা পেঁয়াজ। বাড়তি লাভের আশায় দুদিন আগেও এভাবে লুকিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা ছিল ব্যবসায়ীদের। তবে এবার উল্টোচিত্র দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। দোকানে দোকানে পেঁয়াজে ছয়লাব। আকাশচুম্বী দামও নেই। তবে ক্রেতা সংকটে খাঁ খাঁ অবস্থা।

বুধবার বিকেলে চাকতাই-খাতুনগঞ্জের আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আড়তে স্তূপে স্তূপে রাখা পেঁয়াজের বস্তা। ক্রেতা নেই বললেই চলে। দুয়েকজন ক্রেতা আসলেও বিক্রি কম। আড়তদাররা বলছেন, দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি কমে গেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই পাইকারি বাজারেও খুচরা বিক্রেতারা আসছেন না। তবে কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আরো কমলেই আবারও বাজার সরগরম হবে বলে মনে করছেন তারা।

খাতুনগঞ্জে প্রতিকেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। একদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ নেমে এসেছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পরে ২২০ টাকা পর্যন্ত ঠেকেছিল এই দাম। চীনা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে এ দামের কোনো প্রভাব পড়েনি এখনো।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ৪ দিন আগেও পেঁয়াজ কেনার জন্য ক্রেতার চাপ ছিল। বেশি দামেও বাজারে ক্রেতারা পেঁয়াজ পাননি। সেখানে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত আশানুরূপ ক্রেতা নেই। এরকম থাকলে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে দাম আরও কমে আসবে। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। তাই ৩ থেকে ৪ দিনের বেশি বস্তায় রাখা যায় না। যে কারণে ব্যবসায়ীদের বাধ্য হয়ে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে।

অন্যদিকে গতকাল থেকে খাতুনগঞ্জে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজ। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের মজুদ বাড়বে। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, গতকাল রাতে প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার কেজি দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ এসেছে। ফলে কিছুদিনের মধ্যে দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।