ই-পেপার | বুধবার , ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মশিউর রহমান চৌধুরী একজন সফল সংগঠক

মোঃ আঃ রহিম জয় চৌধুরী ,ফেনী

ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলার রামনগর চৌধুরী বাড়ীর সন্তান মসিউর রহমান চৌধুরী বেড়ে উঠেন চট্টগ্রামে। তিনি কিশোর বেলায় ছিলেন একজন তুখোড় ফুটবল খেলোয়াড়।খেলতেন চট্টগ্রাম মোহামেডান ব্লুজে। ছিলেন নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি মুসলিম হাই স্কুল ও সরকারি কমার্স কলেজ ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ও অধিনায়ক।। কলেজ জীবনের শুরুতে ১৯৮০-৮১ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে সহ-ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন মসিউর রহমান চৌধুরী।এ সময় চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ফুটবল, ক্রিকেট,হকি ও নানা স্পোর্টসে শক্তিশালী দল গঠনে মশিউর রহমান চৌধুরীর অগ্রনী ভূমিকা ছিল।

যে কিশোর বয়সটি ছিলো গায়ে সুগন্ধি মেখে ফুল বাবু সেজে কোন সুহাসিনী কিংবা সুনয়নার সাথে চুটিয়ে প্রেম করার বয়স, সেই বয়সে মশিউর প্রেমে পরলেন রাজপথ – শ্লোগান – মিছিল – মিটিং ও সমাজ সেবায় । স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধেে প্রথম দিনটি থেকে শেষ দিনটি পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রামে মশিউরের নেতৃত্বের গৌরব গাঁথা নতুন করে বলার কিছু নেই।

 

মশিউর রহমান চৌধুরী ছাত্রলীগ জীবনে কলেজ পর্যায় থেকে মহানগর ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ধাপে ধাপে ক্রমান্বয়ে সব পদ ডিঙ্গিয়েছেন সফলভাবে। ছিলেন চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় সাধারন সম্পাদক। বর্তমান সময়ে তিনি নগর আওয়ামী লীগ সম্পাদক মন্ডলির সদস্য,চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের দুই দুইবারের সফল সহ সভাপতি। চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য,পোর্ট সিটি সিনিয়র ক্লাবের পৃষ্টপোষক, বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা ক্রীড়া চক্র চট্টগ্রামের স্টেডিয়াম প্রতিনিধী, কাউন্সিলর। একজন সফল ব্যাবসায়ী মশিউর রহমান চৌধুরী বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ ওনার্স এসোসিয়েশনের তিন বারের নির্বাচিত মহাসচিব। এফ বি আই সি’র সদস্য।

 

মশিউর রহমান চৌধুরীর সমাজ সেবায় রয়েছে অনন্য অবদান। করোনা দূঃসময়ে তিনি জীবন বাজি রেখে চট্টগ্রাম নগরীতে গরীব অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে খাদ্য দ্রব্য, মাক্স ও প্রয়জোনীয় ঔষদ সামগ্রী পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ডায়বেটিকস হাসপাতাল, চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্ট ও চট্টগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য, লায়নস ক্লাব সেন্ট্রাল রাউজানের সভাপতি।

 

মশিউর রহমান চৌধুরী ২০১৮ সালে ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি হিসাবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে আমেরিকায় অনুষ্ঠীত জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন।এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া দলের নেতৃত্ব দিতে ও ব্যাক্তিগত কাজে কানাডা,অস্ট্রেলিয়া, চীন,দক্ষিন কোরিয়া,থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, তুরস্ক, ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশ সফর করেন। একজন শিল্পী যখন নিজের মেধা শ্রম,কঠিন সাধনা এবং কল্পনা শক্তি দিয়ে পাথরের গায়ে টুকটুক করে মূর্তি তৈরী করে নিজ শিল্পী সত্বাকে বিকশিত করেন,একজন কৃষক যেমন প্রচন্ড পরিশ্রম করে জমিতে ফসল ফলায়,তেমনি একজন মশিউর রহমান চৌধুরীকে প্রচন্ড পরিশ্রম ও আন্তরিক সাধনায় আজকের সফল রাজণীতিবিদ, সফল ব্যাবসায়ী, সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে প্রতিষ্ঠত করেছে।

প্রচন্ড ঝড় ঝাপটায় স্রোতের বিপরীতেও দক্ষ সাঁতারুর মতো সাঁতার কেটে তাকে তীরে পৌঁছতে হচ্ছে। কারণ সত্যিকারের একজন সাধক কখনোই পরাজিত হয় না। মশিউর রহমান চৌধুরীকে একজন দৃড়চেতা সাধক হিসাবেই আমরা জানি। মশিউর একজন দারুন স্বপ্নবাজ। বড় স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন কখনোই লেপ গায়ে দিয়ে আরামের ঘুমের ভিতর নয়। তিনি জেনে বুঝে পরিকল্পিত যুক্তি নির্ভর স্বপ্ন রচনা করেন। তার সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রমই তাকে স্বপ্ন পূরণের ঠিকানায় পৌঁছিয়ে দেয়। তার মধ্যে আমরা দেখেছি নেতৃত্ব দেওয়ার ঐশ্বরিক ক্ষমতা বিরাজ করছে। মশিউর রহমান চৌধুরী কাজকে ভালোবাসেন। যে কাজ তিনি করেন তা তিনি আন্তরিকতা,সততা দিয়েই করেন। তিনি চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে সকল অনিয়ম ও দূর্ণিতী মুক্ত স্মার্ট আধুনিক ক্রীড়া সংস্থা হিসাবে গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরক্ত সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। আমরা আশা করি ক্রীড়া উন্নয়নের স্বার্থে সিজেকেএস সন্মানিত কাউন্সিলর বৃন্দ ক্যারেশমেটিক পরীক্ষিত সংগঠক মশিউর রহমান চৌধুরীকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে চট্টগ্রামের ক্রীড়া উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা পালন করবেন।