ই-পেপার | শনিবার , ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর উদ্বোধন

আলমগীর হোসেন,খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগড় স্থলবন্দরের স্থায়ী কাঠামো তৈরি নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত কর্তৃপক্ষের জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মূলত ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের আগে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করায় প্রথমে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করছে বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষ।

রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন হলেও পারাপারে আরো কয়েকমাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

এ ইমিগ্রেশন সেন্টারটি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ পর্যটনে ব্যাপক পরিবর্তন ও উন্নতি ঘটাবে। রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি আন্তর্জাতিকমানের সেতু নির্মাণ করেছে ভারত। ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সেতুটি ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুদেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন এবং ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের ইমিগ্রেশন ভবন ও চেক স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর কিছু লোকবলও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রামগড় ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন জানান, ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে আমাদের দিক থেকে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভারতের প্রস্তুতি শেষ হলে এটি সম্পূর্ণভাবে চালু হবে।

এদিকে দীর্ঘদিন পরে হলেও ইমিগ্রেশন সেন্টারটির উদ্বোধনের খবরে সীমান্তবর্তী দুদেশের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসব ও আনন্দ। প্রতীক্ষার প্রহর যেন মানুষের সইচেনা। অধির আগ্রহে পারাপারের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে কয়েকহাজার মানুষ। দুদেশের পর্যটন স্পটগুলিতে ঘুরে বেড়ানোতে আগ্রহ সবার।