ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এক্সপ্রেসওয়ের যুগে চট্টগ্রাম, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রাম অফিস :

যানজট নিরসনে চট্টগ্রামে নির্মিত প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম টানেলের পর এক্সপ্রেসওয়ের যুগে প্রবেশ করলো। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আরও ১৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এছাড়া সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন করা ১৫৭টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি। এতে মোট খরচ হয়েছে ৯৭ হাজার ১৭১ কোটি টাকা।

 

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ ফ্লাইওভার’ নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এজন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তের প্রবেশমুখে প্রায় এক হাজার মানুষের সমাবেশের আয়োজন করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

 

উদ্বোধনের আগে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমি খুব আনন্দিত। সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন করা ১৫৭টি প্রকল্পের ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামো একসঙ্গে উদ্বোধন হচ্ছে। আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। ১৯ মহকুমাকে তিনি জেলায় পরিণিত করেছেন। সারাজীবন তিনি দেশের মানুষের জন্য লড়াই করে গেছেন।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার পুরো পরিবারকে হত্যার পর একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা ক্ষমতায় বসেছে। প্রধানমন্ত্রীও হয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় তখন আমি দেশে আছি। ভয়কে প্রশ্রয় দেয়নি। এরপর অনেক লড়াই সংগ্রাম করেছি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এ পথ মসৃণ ছিল না। গ্রেনেড হামলা হয়েছে, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আমার লক্ষ্য স্থির ছিল। তাই ক্ষমতায় এসে দেশকে আজ এ জায়গায় আনতে পেরেছি। এ সরকার যা যা প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেশকিছু আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে। বাকি যেগুলো আছে সেগুলোও উদ্বোধন করে গেলাম। দেশের মানুষ চাইলে আবার ক্ষমতায় এসে দেশকে আরও উন্নত করব।’

 

চট্টগ্রামে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়ন করা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ফৌজদারহাট থেকে বায়েজিদ সড়ক পর্যন্ত লিংক রোড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ১০টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসার উন্নয়ন, গণপূর্ত অধিদফতরের করা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য বহুতল ভবন ও পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি ভবন নির্মাণ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের করা চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি অবকাঠামো স্থাপন ও কমিউনিটি ক্লিনিক।

 

এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, সমাজসেবা অধিদফতরের জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের মহেশখালী জিরো পয়েন্ট (কালাদিয়ার চর) থেকে সিটিএমএস (ধলঘাট পাড়া) গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাই নির্মাণ, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ ও চট্টগ্রাম-ফেনী-বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের করা মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন প্রকল্প। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যেগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে মুরালী খালের ওপর ১২১ মিটার দীর্ঘ ভেলালাপাড়া সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।