ই-পেপার | সোমবার , ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৪ ঘণ্টায় ১০০০ বার কাঁপল আইসল্যান্ড

আন্তজার্তিক বাংলা ডেস্ক :

উত্তরপশ্চিম ইউরোপের দেশ আইসল্যান্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০০ বার ভূমিকম্প হয়েছে। প্রাকৃতিক এ বিপর্যয়ের কারণে বিশ্বখ্যাত ব্লু লেগুন জিওথার্মাল পুলটি এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর সিএনএনের

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ব্লু লেগুনের পুল, স্পা, হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলো গত ৯ নভেম্বর বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ১৬ নভেম্বর সকাল ৭ টায় পুনরায় খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। সাইটটির একজন মুখপাত্র সিএনএনকে বলেছেন, ব্লু লেগুন বন্ধ রাখা কেবল সতর্কতামূলক ব্যবস্থার একটি অংশ। এর প্রাথমিক কারণ হল অতিথি এবং কর্মীদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া। এজন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

গত বৃহস্পতিবার ব্লু লেগুনের কাছাকাছি দক্ষিণ-পশ্চিম আইসল্যান্ডের রেকজানেস উপদ্বীপ ভূকম্পনে কেঁপে ওঠে। দেশটির রাজধানী রেইকজাভিক থেকে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে পশ্চিম দিকে অবস্থিত প্রকম্পিত অঞ্চলটি। ব্লু লেগুনের কাছেই রয়েছে আইসল্যান্ডের প্রধান বিমানবন্দর কেফ্লাভিক ইন্টারন্যাশনাল। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) মধ্যাহ্ন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৪০০ বার কেঁপে ওঠে অঞ্চলটি। শুক্রবারের প্রথম ১৪ ঘণ্টায় আরও ৮০০ বার এটি ঘটে। রিখটার স্কেলে বৃহস্পতিবারের কম্পনগুলোর মধ্যে সাতটি ছিল ৪ বা তার বেশি মাত্রার। সবগুলোরই উৎপত্তিস্থল ছিল এয়ারপোর্টের কাছে এলডভোর্প এবং ব্লু লেগুনের ঠিক পূর্বে অবস্থিত সিলিংগারফেলে পর্বতে।

 

এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবারের বুলেটিনে তারা বলছে, মাটির নিচে ম্যাগমা জমা অব্যাহত থাকায় ৫.৫ মাত্রার বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকি এড়াতে গোটা রেকজেনেস উপদ্বীপকে হলুদ কোড করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যটন বোর্ড রেইকজানেসের ম্যানেজার উরিদুর আরাদোত্তির ব্রাউন সিএনএনকে বলেন, কোথায়, কখন বা কখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে বা এই ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাব্য আকার কেমন হতে পারে তা সঠিকভাবে অনুমান করার কোনো উপায় নেই। তিনি জানান, আইসল্যান্ডে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাতটি হয়েছিল চলতি বছরের ১০ ​​জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। সে সময় পর্যটকসহ স্থানীয়দের উত্তপ্ত লাভার ওপর হাঁটতে মানা করা হয়েছিল। ২০২১ ও ২০২২ সালে রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ফাগরাদালসফজাল পর্বতের কাছেও লাভা ছড়িয়ে পড়েছিল।

পৃথিবীর সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি অঞ্চলগুলো মধ্যে অন্যতম আইসল্যান্ড। ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও অধিকাংশ জীবন্ত আগ্নেয়গিরি আইসল্যান্ডে। দেশটিকে সব সময় অগ্নুৎপাতের ঝুঁকিতে থাকতে হয়। প্রতি বছর হাজারো পর্যটক দেশটিতে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি দেখতে আসেন।