আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মাত্র আধাঘণ্টার ব্যবধানে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান,পাপুয়া নিউগিনি ও চীন। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাত তিনটার পর এই বিরল ঘটনা ঘটেছে। প্রথম ভূমিকম্পটি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনিতে। বাংলাদেশ সময়ে রাত ৩ টা ১৬ মিনিটে পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) জানিয়েছে, পাপুয়া নিউগিনির ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। পাপুয়া নিউগিনির ভূমিকম্পের ২২ মিনিট পর, রাত ৩টা ৩৮ মিনিটে পাকিস্তানে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এনসিএস জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পটিরও উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এতে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানে ভূমিকম্পের ৮ মিনিট পর ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয় চীনের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের প্রদেশ তিব্বত বা জেজিয়াংয়ে। এনসিএস জানিয়েছে ভূপৃষ্ঠের ১৪০ কিলোমিটার গভীরে সৃষ্ট এই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫।
প্রসঙ্গত পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি ও তিব্বত বা জেজিয়াংয়ে ভূমিকম্প কোনো বিরল কোনো ঘটনা নয়। তবে ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন তিনটি অঞ্চলে প্রায় একই সময়ে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ বিরল। তবে এসব ভূমিকম্প থেকে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভূমিকম্পের পর কোথাও সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে বাড়ি-ঘরের নিচে চাপা পড়ে কমপক্ষে ১২৫ জনের মৃত্যু হয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস