আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শাস্তির মুখে থাকা (ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন) এক মার্কিন সেনা আন্তঃকোরিয়ান সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে গেছেন। মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাভিস কিং নামের ওই মার্কিন সেনা বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে রয়েছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বিষয়টি ওয়াশিংটনের জন্য একটি নতুন সংকট তৈরি করেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ওই সেনা সদস্যের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাভিস কিং দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী ‘জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া’তে ‘ওরিয়েন্টেশন ট্যুরে’ ছিলেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে এবং অনুমোদন ছাড়াই সামরিক সীমানা রেখা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়াতে ঢুকে পড়েন তিনি।
লয়েড অস্টিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এখনও অনেক কিছু বোঝার চেষ্টা করছি। আমরা ধারণা করছি সে উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে রয়েছে এবং তাই আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
ইউএস ফোর্সেস কোরিয়ার মুখপাত্র কর্নেল আইজ্যাক টেলর জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধানে উত্তর কোরিয়ার পিপলস আর্মির সাথে কাজ করছে তার বাহিনী।
ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি হাসতে হাসতে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে ঢুকে পড়েন।
তিনি বলেন, আমি প্রথমে ভেবেছিলাম সে হয়তো বাজে একটা রসিকতা করছে। কিন্তু সে যখন আর ফিরল না, আমি বুঝলাম সে আসলে মজা করছিল না।
ওই সেনা যখন উত্তর কোরিয়াতে ঢুকে পড়ে তখন উত্তর কোরিয়ার কোনো সেনাসদস্য সেখানে উপস্থিত ছিল না।
এদিকে এ ঘটনার প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি পূর্ব সাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছে, যা জাপানের সাগর নামেও পরিচিত।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা ২৪