ক্রীড়া বাংলা :
সিদরা আমিন ছাড়া পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছে সবাই। তাদের দেওয়া মাঝারি লক্ষ্যের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড জুটি গড়েন ফারজানা হক ও মুর্শিদা আক্তার।
এই দুই ব্যাটারের নৈপুণ্যে জয়ের পাশাপাশি সিরিজও নিজেদের করে নিল টাইগ্রেসরা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জয় ৭ উইকেটে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ১৬৬ রান। জবাব দিতে নেমে ২৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান জয় পায় ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ম্যাচটি টাই হওয়ার পর সুপার ওভারে জেতে তারা। তৃতীয় ম্যাচ জয়ে প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতল টাইগ্রেসরা। এই সিরিজ জয়ে আইসিসি উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপে এক ধাপ উপরে উঠল নিগারের দল। ১২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান সাতে। ১৫ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে পাকিস্তান।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রান যোগ করেন ফারজানা ও মুর্শিদা। ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শারমিন আক্তার ও আয়েশা রহমানের ১১৩ রানের জুটিটি সর্বোচ্চ ছিল। ৩৫তম ওভারে ফারজানা বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। ১১৩ বলে ৬২ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে।
ফারজানার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুর্শিদাও। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটার করেন ১০৬ বলে ৫৪ রান। এরপর চারে নেমে শূন্য রানে বিদায় নেন ফাহিমা খাতুন। তবে ব্যাট হাতে লড়ে গিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি। নিগার ১৮ ও সোবহানা ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করে পাকিস্তানও। তাদের ৬৫ রানের জুটিটি ভাঙেন নাহিদা আক্তার। ৩১ রান করে ফেরেন ওপেনার সাদাফ শামস। বাকি ব্যাটাররা কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা সিদরা আমিন খেলেন ১৪৩ বলে ৮৪ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নেন নাহিদা। রাবেয়া খান ধরেন জোড়া শিকার। একটি করে উইকেট পান ফাহিমা, নিশি ও স্বর্ণা।