নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকা :
দুজনই বিশ্বকাপজয়ী, দুজনই কিংবদন্তি; যদিও মাঠের লড়াইয়ে কখনো একে অপরের মুখোমুখি হননি। তবে এবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকার দিতে দেখা গেল তাদের। গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের এক ছাতার নিচে আনে বিখ্যাত জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এডিডাস। প্রায় আধ ঘণ্টার সেই ভিডিওতে একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তারা। কথা বলেন জীবন সম্পর্কে, ফুটবল সম্পর্কে। শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন সেই দুই ব্যক্তি আর কেউ নন- লিওনেল মেসি ও জিনেদিন জিদান।
ভিডিওর শুরুতেই জিদান, ‘এটা দুঃখজনক যে আমরা একসঙ্গে খেলতে পারিনি। তবে তোমাকে বল পাস দেওয়ার এটাই সময় (হাসি)। আমি অনেকটা দূর থেকে এসেছি। তবে তোমার সঙ্গে ফুটবল সম্পর্কে কিছু কথা বলতে পারাটা আনন্দদায়ক। কারণ সবাই এটা শুনতে চায়। ‘ বিপরীতে মেসি বলেন, ‘প্রথমত এটা আমার জন্যও আনন্দের। কারণ আপনি জানেন আমি আপনাকে কতটা শ্রদ্ধা। আমাদের একসঙ্গে খেলার সুযোগ হয়নি। তবে কিছুটা একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছি, আপনি একজন কোচ ও আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবে। তবে আমি আপনাকে সবসময় শ্রদ্ধা ও সম্মান করেছি। ‘
ভিডিওর একপর্যায়ে জিদানকে বলা হয় কয়েক শব্দে মেসিকে বর্ণনা করতে। কিন্তু ফরাসি কিংবদন্তি কেবল একটি শব্দই খরচ করলেন, ‘ম্যাজিক (জাদু)। মেসি আর আমি প্রতিদিন একসঙ্গে থাকি না। তাই আজকের দিনটি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ, আমি বলতে পারি তাকে কতটা ভালোবাসি। এবং আমি মনে করি এটা ম্যাজিক, খাঁটি ম্যাজিক। ‘ ‘বল রিসিভ করার আগেই সে জানত কী করতে হবে। এবং বিশেষ করে আমার জন্য যে কি না ফুটবল বোঝে। আমি প্রায়ই জানতাম তুমি কী করতে চলেছ। জিনিসটা একটি সংযোগের মতো। তবে সে যা করে সেটা দেখার পর আমি বলি, ঠিক এমনটাই হওয়ার ছিল। এটাই তো মানুষ দেখতে চায়। এমন ফুটবলার খুব কমই আছে। কিন্তু কেউই তার মতো নয়। ‘
জিদানকে বর্ণনা করতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘তিনি শুধু আমার সামনে বসে আছেন বলে বলছি না। তাকে আমি সবসময়ই বেশ শ্রদ্ধা ও পছন্দ করি। মাদ্রিদে থাকতে তাকে প্রচুর অনুসরণ করেছি আমি। এবং তিনি আমাকে প্রচুর ভুগিয়েছেও কারণ আমি বার্সেলোনা থেকে এসেছি। তিনি সবসময়ই একজন ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়। সৃজনশীলতা, শিল্প, জাদু- সবকিছুই তার মধ্যে ছিল। আমি বিশ্বাস করি, তিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। তাকে নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি আছে। ‘ ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে লেভারকুসেনের বিপক্ষে তিনি বাঁ পায়ে যে গোলটি করেছিলেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে সেই গোল দুটো, সেই রুলেট ড্রিবলিং, ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে বাঁ পায়ের সেই গোলটি; আমরা যারা ফুটবল ভালোবাসি তাদের কাছে এসব ছিল উপভোগের। আমিও প্রচুর উপভোগ করেছি। এমনকি এটা আমার জন্য হজম করা কিছুটা কঠিনও ছিল। কারণ আমি একজন বার্সা ভক্ত। তবে কিংবদন্তি খেলোয়াড়রদের জার্সি-দেশ এসব দিয়ে বিবেচিত করা হয় না, তারা এরও উর্ধ্বে। ‘