নিজস্ব প্রতিনিধি, নীলফামারী :
যেসব সাংবাদিক প্রেস কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত হবে না তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তালিকাভুক্ত হতে গেলে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র ও সম্পাদকের প্রত্যয়নপত্র লাগবে। এতে কারা আসল সাংবাদিক সেটা বুঝা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম। বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারী সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা জানান।
নিজামুল হক নাসিম বলেন, দেশে সাংবাদিক কারা হবেন, তাদের যোগ্যতা কী হবে এ নিয়ে কোনো আইন নেই। সাংবাদিকদের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট কিংবা গ্র্যাজুয়েট না হলেও কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এবং ঢাকায় বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তালিকা সংগ্রহ করছি। চিকিৎসক, আইনজীবী, ইঞ্জিনিয়ার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের নিবন্ধন আছে। অথচ সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিতদের কোনো নিবন্ধন নেই। এর ফলে যাদের উপযুক্ততা নেই তারাও এ পেশায় আসছে।
প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, অপসাংবাদিকতা রুখতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১৫ সালে নতুন আইনের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এতে কোনো সাংবাদিক মিথ্যাচার করে সংবাদ পরিবেশ করলে তাদের এক টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে। এ আইন পাস হলে প্রেস কাউন্সিলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও সন্তুষ্টি আসবে।জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্সপারসন হিসেবে প্রশিক্ষণ দেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার গোলাম সবুর। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানসহ অতিথিরা।