সিএনএন বাংলা২৪,যশোর
আসন্ন কোরবানির ঈদে যশোরে পশু সংকট হবে না বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। ফলে অন্যান্যবারের মতো এ বছরও সরকারিভাবে অন্য দেশ থেকে গরু আমদানি করা হবে না। এদিকে এবারের কোরবানির পশুর হাটে নির্বিঘ্নে পশু বেচাকেনা নিশ্চিত করতে অনলাইন হাটের পাশাপাশি হাটে থাকবে ক্যাশলেস লেনদেনের সুবিধা। অন্যদিকে চোরাই পথে দেশে আসা কোনো পশু যাতে হাটে উঠতে না পারে সে দিকেও লক্ষ্য রাখবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর যশোর জেলায় মোট গরুর চাহিদা ২৭ থেকে ২৯ হাজার থাকলেও সরবরাহ রয়েছে ৩১ হাজার দেশি গরু। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় দেশি গরুর সরবরাহ বেশি রয়েছে। অপরদিকে জেলায় মোট ছাগলের চাহিদা রয়েছে ৭০ হাজারেরও বেশি। এখন পর্যন্ত গণনায় দেখা গেছে, জেলায় ছাগলের সরবরাহ রয়েছে ৪৯ হাজারেরও বেশি। তবে ছাগলের সরবরাহও কম হবে না বলে আশাবাদী প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর। তাদের গণনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, এ বছর অনলাইনে পশু কেনাবেচার সুযোগের পাশাপাশি পশু হাটে থাকছে ক্যাশলেস সুবিধা। ফলে, টাকা ছিনতাই, জাল টাকার আদান-প্রদান এবং টাকা বহন করার ঝামেলা পোহাতে হবে না ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গ্রাহকরা এই ক্যাশলেস সুবিধা পাবেন। এ ছাড়াও এ বছর জেলার মোট ৯ হাজারেরও বেশি খামারি কমবেশি পশু বাজারজাত করবেন। এবার জেলায় মোট ২৪টি পশুহাট হবে যশোরে। এর মধ্যে বৃহত্তর পশুহাট হবে শার্শা উপজেলার সাতমাইলে। প্রতিটি হাটে একটি করে মেডিকেল টিম থাকবে।
যশোরের বসুন্দিয়ার খামারি কামাল হোসেন বলেন, আমার খামারে ২২টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি গরু এবার কোরবানির ঈদে হাটে তুলবো। আশা করি ভালো দাম পাবো।
মনিরামপুরের ঢাকুরিয়ার খামারি আফজাল হোসেন বলেন, যেহেতু গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বেড়েছে, সেহেতু দামটাও ভালো পাওয়া উচিত। চোরাইপথের গরু হাটে না এলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক সিএনএন বাংলা২৪কে বলেন, এ বছর যশোরে কোনো পশুর সংকট নেই। আমাদের গণনা চলমান রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলতে পারি আমাদের পর্যাপ্ত পশুর সরবরাহ রয়েছে। তাছাড়া আমরা মেডিকেল টিম তৈরি করছি এবং হাটে ক্যাশলেস সুবিধা থাকছে। সব মিলিয়ে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।
এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪