নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার
ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডব থেকে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার একমাত্র সি অ্যাম্বুলেন্সটিও রক্ষা পায়নি। অ্যাম্বুলেন্সটি ভেঙে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বড়ঘোপ স্টিমারঘাটে নোঙর করে রাখা ছয়টি ড্যানিশ বোট ও ছয়টি স্পিড বোটও ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জরুরি রোগী বহনের জন্য বিকল্প কোনো উপায় নেই। ভেঙে যাওয়া বোটগুলো মেরামত করতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া সি অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত সময়ে মেরামত না করলে সংকটপূর্ণ রোগী বহনে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে।
গত মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডব শুরু হলে স্টিমারঘাটে নোঙর করে রাখা সি অ্যাম্বুলেন্সটি নোঙর ছিঁড়ে ঘাটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভেঙে যায়।
কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক এমএ মান্নান বলেন, দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। অসুস্থ রোগীসহ জরুরি রোগীদের বহন করে এই অ্যাম্বুলেন্সটি। এটি দ্বীপের মানুষের একমাত্র ভরসা। আমাদের দ্বীপে আর উন্নত নৌযান নেই। রোগী নিয়ে যদি নদী পার হতে হয় সেটিও ব্যয়বহুল।আমাদের দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। তাই এটি দ্রুত মেরামত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুস্তাফিজুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমার স্ত্রী গর্ভবতী। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার বলেছেন দ্রুত সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স নাকি ভেঙে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। তারপরও কাঠের ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে কোনো মতে পার হয়েছি। সি অ্যাম্বুলেন্সও যদি দ্রুত সময়ে মেরামত না হয় তাহলে আমরা বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সি অ্যাম্বুলেন্সটি ভেঙে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। এই অ্যাম্বুলেন্স করে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী পারাপার করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সটি মেরামত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।