চট্টগ্রাম ব্যুরো :
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা এতোটাই উদার মানসিকতার যে যে খালেদা জিয়া তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিল তাকে দণ্ডিত আসামি হওয়ার পরেও বাসায়-হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। পনেরোই আগস্ট আসলে পুরো জাতি যেখানে শোকে বিভোর থাকে সেখানে খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করে উল্লাস করে।সেই খালেদা জিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় দণ্ডিত আসামি হয়েও কারাগারের বাইরে আছেন।
রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে বাকলিয়ায় লিজা কমিউনিটি সেন্টারে ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে সরকারের বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাদের আয় কম এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলে আপনার বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছেন। করোনাকালীন যখন মানুষ সংকটে ছিল তখন কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু এই বৃহত্তর বাকলিয়া এলাকায় বিএনপির অনেক বিত্তশালী নেতা আছেন তাদের কাউকে এক প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী হাতেও দেখা যায়নি। বিএনপি মানুষকে কিছু দিতে শেখেনি তারা শুধু লুটেপুটে খেতে জানে। সাধারণ জনগণ যা সুযোগ সুবিধা পেয়েছে তা একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার মাধ্যমেই পেয়েছে।
আমাদের মা যেমন সংসার আগলে রাখেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঠিক তেমনি করে সারা দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা নিশ্চিত করে মাতৃরূপ সবাইকে আগলে রেখেছেন। তাঁর মতো নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কোনো নেতা বাংলাদেশে নেই। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। তাই আপনাদের এখন থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়নসমূহ তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হবে। পাশাপাশি বিএনপি যে আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ ও রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করেছিল এবং তারা যদি ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে যে হরিলুট শুরু করবে তা-ও ভোটারদের বোঝাতে হবে।
১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব সওদাগরের সভাপতিত্বে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মো. শাহজাহানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ হারুন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের শাহীন আক্তার রোজী। বক্তব্য দেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেকান্দর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোনাফ, শিক্ষক নুর মোহাম্মদ, ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষকসহ বিভিন্ন উপকারভোগীরা।