নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ-২০২৩’র আওতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্মার্ট স্কুল বাস-উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রথম হয়েছে। যার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ৮০ লাখ টাকার চেক পুরস্কার নিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত শেখ রাসেল দিবসের উদ্বোধনী ও শেখ রাসেল পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে তিনি ৮০ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন।
নগরের স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে তীব্র যানজট, অভিভাবকদের ভোগান্তি, অধিক যাতায়াত খরচ, জ্বালানি অপচয়, সড়ক দুর্ঘটনাসহ কর্মঘণ্টা অপচয় থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন রুটে চলছে ১০টি দোতলা বাস। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে ‘সমৃদ্ধ নগর, উন্নত গ্রাম, প্রযুক্তির ছোয়ায় স্মার্ট চট্টগ্রাম’ স্লোগানকে সামনে নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম কর্তৃক পরিচালিত দেশের জেলাসমূহের উদ্ভাবনী কার্যক্রম ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ’ এর আওতায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ‘স্মার্ট স্কুল বাস’ নামক উদ্ভাবনী উদ্যোগটি প্রথম পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৮৯টি উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়। বিচারকদের রায়ে চট্টগ্রামসহ ৫ জেলাকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। অন্যান্য নির্বাচিত জেলাগুলো হচ্ছে-ওয়ান স্টপ সার্ভিস ফর ট্যুরিস্ট উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন-২য়, অগ্নি নির্বাপণ ও গ্যাস নিঃসরণ রোধ ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসন-৩য়, স্মার্ট খাদ্যশস্য মজুদ ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন চতুর্থ এবং স্মার্ট ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন পঞ্চম হয়।
অনুষ্ঠানে এ সব জেলার জেলা প্রশাসকেরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। সূত্র জানায়, স্মার্ট স্কুল বাস উদ্যোগের আওতায় নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে যে ১০টি দোতলা বাস চলছে সেগুলোতে স্মার্ট টেকনোলজি যেমন, জিপিএস ট্র্যাকার, আইপি ক্যামেরা, এআই ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসে ওঠা-নামার সময় অভিভাবকের ফোনে স্বয়ংক্রিয় এসএমএস প্রদান, বাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান মনিটরিং, স্কুল টাইমিং সমন্বন্বর মাধ্যমে স্বল্প খরচে স্কুল-কলেজে যাত্রা নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ডেটাবেজ প্রস্তুুতের পাশাপাশি বাসগুলোতে জিপিএস ট্র্যাকার, অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা, শিক্ষার্থীদের স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশলেস পেমেন্ট পদ্ধতি সম্বলিত বিভিন্ন ডিভাইস সংযোজন করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে বাসের সংখ্যাও বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সূত্র: বাংলানিউজ২৪