ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আফগানদের ১২৬ রানে থামিলে দিল টাইগাররা

সিএনএনবাংলা ডেস্ক :

টানা দুই ওয়ানডে ব্যাটিং ও বোলিং ব্যর্থতায় হারের পর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে স্বরূপে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার চট্টগ্রামে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে অসাধারণ বোলিং করে আফগানদের ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে রানে থামিয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা।

 

ফলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে টাইগারদের করতে হবে ১২৭ রান। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভারে এক রান দেওয়া শরিফুল উইকেটের দেখা পান দ্বিতীয় ওভারে। প্রথম বলেই তার বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন ইবরাহিম। ১ রানে বিদায় নেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে একই কাজ করেন ব্যাট করতে নামা রহমত শাহ। বল তালুবন্দি করতে ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। শূন্য রানেই বিদায় নেন আফগান ব্যাটার।

৩ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে আফগানরা তৃতীয় বড় ধাক্কা খায় ষষ্ঠ ওভারেই। এরপর তাসকিনের শিকার হয়ে ফেরেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সফরকারীদের ম্যাচ জেতানো গুরবাজ। তাসকিনের লাফিয়ে উঠা বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা হয় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৬ রান করেছেন গুরবাজ।

ফলে মাত্র ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানরা লজ্জার এক রেকর্ডও গড়ে। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে এতো কম রানে কখনোই চার উইকেট হারায়নি তারা। ২০১৮ সালে বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট হারিয়েছিল ১৬ রানে।

অষ্টম ওভারে আবার আঘাত হানেন শরিফুল। এবার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবিকে। তার গুড লেংথের বল শাফল করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি নবি। বল সোজা গিয়ে আঘাত হানে তার প্যাডে। ফলে ১ রানেই ফিরতে হয় তাকে। ১০ ওভারের পর দুই প্রান্ত দিয়েই স্পিন আক্রমণ করে বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে গিয়ে উইকেটের দেখা পান সাকিব আল হাসান। তার লেংথ বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন ১০ রান করা নাজিবউল্লাহ জাদরান। এরপর তাইজুলের বলে ২২ রানে ফেরেন শহীদি।

নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসে আবার উইকেটের দেখা পান শরিফুল। এখন পর্যন্ত ৯ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া জিয়াকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন তাইজুল।

 

নুর মোহাম্মদ, সিএনএনবাংলা২৪