আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়বদ্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী হোসেইনি খামেনি। একই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
খামেনি বলেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইহুদিবাদী শাসকদের বিচার হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকদের অপরাধ অব্যাহত থাকলে কেউ মুসলিম ও প্রতিরোধ শক্তির মোকাবিলা করতে পারবে না… গাজায় বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ’
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইসরায়েল সফরের আগে এসব কথা বলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ চলাকালেই দেশটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার তিনি ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে এ ঘোষণা দেন ব্লিনকেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে সাড়ে ৭ ঘণ্টার বৈঠকের পর এমন ঘোষণা দেন তিনি।
এটি হবে যুদ্ধ চলাকালীন দেশে বাইডেনের দ্বিতীয় সফর। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি গোপনে ইউক্রেন সফর করেছিলেন।
এদিকে, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে গাজায় সোমবার পর্যন্ত দুই হাজার ৮০৮ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় আহত ১০ হাজার ৮৫৯ জন।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ নারী ও শিশু। এর মধ্যে ৩৭ চিকিৎসাকর্মী, চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস রয়েছেন।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন, আর আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০০ জন।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর হয়েছেন এক হাজার দুইশরও বেশি।
ইসরায়েল এখন গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে পানি, বিদ্যুৎ ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ইসরায়েল গাজা সিটিসহ উত্তর দিকের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়তে বলেছে।
আমির, সিএনএনবাংলা২৪