ই-পেপার | বৃহস্পতিবার , ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এমবিবিএস পাশ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেন আতিফা

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও :

ডাঃ সাবরিনা আছিয়া আতিফা। তিনি সদ্য প্রকাশিত এমবিবিএস পরীক্ষায় সফলতায় উত্তীর্ণ হয়ে এলাকাবাসীর মুখ উজ্জল করেছেন। মেধাবী আতিফা দেখিয়ে দিলেন নারীরা চাইলেই পারেন।

 

আতিফা ছোটবেলা থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি ও ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

 

পড়াশোনায় তিনি পরিবার থেকে পেয়েছেন সহযোগিতা আর অনুপ্রেরণা। তার বাবা কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ধর্মেরছড়ার বাসিন্দা হাকিম আলী-খালেদা আক্তার দম্পতির কন্যা এবং ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান মনজুর আলম সওদাগর, সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসান আলীর ভাতিজী।

 

আতিফা’র ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ ছিল বেশি। মেডিকেলের কিছু বন্ধুর অনুপ্রেরনা আর সাহায্য তার মেডিকেলের যাত্রাকে আরও সহজ করেছে। যার বদৌলতে দক্ষতার সাথে এমবিবিএস পাশ করেন।

মুলতঃ মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে আতিফা পড়াশোনা শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন একজন চিকিৎসক হওয়ার জন্য। কিন্তু এর মাঝে একটি ঘটনা তার জীবনের মোড় বদলে দেয়।

 

প্রতিটা নারীর সফলতার পেছনে একজন ভালো, বন্ধুসুলভ অনুপ্রেরণা ও সাহায্যদানকারী অনেক বেশী দরকার। ডাঃ সাবরিনা আছিয়া আতিফা’র বেলাতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

 

তার বাবা হাকিম আলী একজন ব্যবসায়ী। কন্যার মেধার মূল্যায়ন সবসময় করেছেন তিনি। মূলত পিতা-মাতার অনুপ্রেরনাতেই আমার ডাক্তারি পড়া শুরু, অনেক বেশী সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছি তাঁদের কাছ থেকে। আজ আমার ডাক্তার হওয়ার পেছনে বাবা-মা’র ভূমিকা অনেক বেশী, বললেন ডাঃ আতিফা।

ডাঃ সাবরিনা আছিয়া আতিফা বলেন, অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট হিসেবে কাজ করা। বর্তমানে বিভিন্ন দেশের নারী যা দেখে অনেক বেশী উৎসাহ পেয়েছি আমি। আর আমরা চিকিৎসকরা বাংলাদেশে কতটা পরিশ্রম করে চিকিৎসক হই ও তার পরে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে যতটা কঠিন পথ অতিক্রম করি তা একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি জানি। কিন্তু বিনিময়ে চিকিৎসকরা যথার্থ মর্যাদা পান না। অত্যন্ত আবেগজনিত ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন ডাঃ সাবরিনা আছিয়া আতিফা।

 

পড়াশোনার পন্থা ও কিভাবে এ সফলতা- এ প্রসঙ্গে ডাঃ আতিফা জানান, তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থী ছিলেন তাই নিয়মিত পড়ার অভ্যাস আছে তার। এটাই তাকে সবচেয়ে বেশী সহায়তা করেছে। নিজের সর্বোচ্চ পরিশ্রমটুকু করেছেন। চেষ্টা করেছেন সব বুঝে বুঝে পড়তে আর নিয়মিত পড়েছেন। অধ্যবসায়, পরিশ্রম আর দৃঢ় ইচ্ছার জন্য সম্ভব হয়েছে ভালো ফল করার। তাছাড়া এই দুর্ভোগের যুগে চিকিৎসাকে সম্মানকজনক ও নিরাপদ মনে হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

ডাঃ আতিফা’র পিতা হাকিম আলী বলেন, ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা কতটা খুশি আমি। গর্বিত বাবা আমি। আমার ছেলে-মেয়ে সবাই অত্যন্ত মেধাবী।

 

সব মেয়েদের উদ্দেশ্যে এই মেধাবী চিকিৎসক আতিফা বলেন, নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে আর কঠোর পরিশ্রম করলে মেয়েরা সব পারবে। এরকম হাজারও আতিফা তৈরী হোক ঘরে ঘরে যারা সমাজকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিবেন নারীরা কোন অংশে কম নন।

 

এইচ এম কাদের,সিএনএন বাংলা২৪